হোম আন্তর্জাতিক ইরানের ড্রোন শক্তির কাছে অসহায় যুক্তরাষ্ট্র!

ইরানের ড্রোন শক্তির কাছে অসহায় যুক্তরাষ্ট্র!

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 91 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ড্রোনশিল্পে ব্যাপক এগিয়ে গেছে ইরান । তাদের নানাবিধ অস্ত্রের কারণে বদলে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের কৌশল। এসব অস্ত্র এবং কৌশলের ফলে নাস্তানাবুদ হচ্ছে শত্রুপক্ষ। ইসরাইল-হামাসের সংঘাত থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও ব্যবহৃত হচ্ছে ইরানের ড্রোন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন স্থানে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে দেড়শ’র বেশি হামলা চালায় বিভিন্ন গোষ্ঠী। তবে এতবার হামলার পরও কোনো না কোনোভাবে ড্রোন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিতে সক্ষম হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার বদলে গেছে চিত্র।

গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যে ড্রোন হামলায় মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে। সিরিয়ার জর্ডান সীমান্তে এক মার্কিন ঘাঁটিতে ওই ড্রোন হামলায় বহু মার্কিন সেনা হতাহত হয়। পেন্টাগন এটিকে হিজবুল্লাহ ও কাতাইবের সম্মিলিত হামলা বলে দাবি করেছে। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এসব সশস্ত্রগোষ্ঠীর কাছে তেহরান অস্ত্র সরবরাহ করেছে। ইরানের এই ড্রোনগুলো তুলনামূলক সস্তা এবং দ্রুতগতির।

মধ্যপ্রাচ্যের একজন অস্ত্র বিশেষজ্ঞ জানান, ৯০-এর দশকে কাতাইব ও হিজবুল্লাহর মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মার্কিন ঘাটি লক্ষ্য করে শুধু রকেট হামলা চালাতে পারতো। কিন্তু এখন যুদ্ধকৌশল বদলে যাওয়ায় ছোট ড্রোন দিয়ে বড় ধরনের ক্ষতির করতে পারে। এমনকি সবচেয়ে ছোট ড্রোনটিও দূরের লক্ষ্যবস্তুতে গিয়ে সজোরে আঘাত হানতে পারে।

ইরানের ড্রোনের বেশ চাহিদা রয়েছে বিশ্ববাজারে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা পশ্চিমাবিশ্বের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও তেহরান থেকে অস্ত্র কিনতে চায় অনেক দেশ। আফগানিস্তান, আজারবাইজান, তুর্কমেনিস্তান, কিরগিস্তান ও কাজখস্তানের মতো দেশগুলো ইরানের তৈরি ড্রোন সংগ্রহ করছে।

সম্প্রতি এশিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইরানে ড্রোন শিল্প শুরু হয় ১৯৮০- এর দশক থেকেই। তবে ড্রোন শিল্পে ইরানের মূল বিপ্লব শুরু হয় ২০১১ সাল থেকে।

২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন ভূপাতিত করে ইরান। এরপর ইসরাইলের ড্রোনও ভূপাতিত করেছে দেশটি। বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইরানের ড্রোন, রকেট এবং স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাক ও লেবাননের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে ওয়াশিংটন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন