খেলাধূলা ডেস্ক :
বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। অন্যদিকে সিলেটের হয়ে ব্যাটে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন মোহাম্মদ মিথুনও। আর তাই দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা খেলোয়াড়দের সুযোগ পাওয়া নিয়ে নতুন করে কথা উঠছে।
এ প্রসঙ্গে রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিপিএলে দু-একটা ভালো ইনিংস নয়; বরং যারা ধারাবাহিক পারফর্ম করছেন, তাদের সুযোগ হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষের সিরিজের দলে।’
টি-টোয়েন্টিতে তামিমের স্থলাভিষিক্ত ও ওয়ানডেতে দেশসেরা ওপেনারের সঙ্গী খুঁজতে দিশেহারা অবস্থা বিসিবির। সৌম্য সরকার, নাইম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্তরা নেই নেই ফর্মে। বিপিএলের চলতি আসরে তিন ম্যাচ খেলা লিটন কুমার দাস অবশ্য আছেন কিছুটা ছন্দে। তিন ম্যাচে এক ফিফটিতে তার রান সংখ্যা ১০০।
বাকি ম্যাচগুলোতে কী করেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়। এদিকে দল ষোষণারও খুব বেশি সময় নেই। আগামী ১৫ অথবা ১৭ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। তার আগে খুঁজতে হবে যোগ্য ওপেনার।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সৌম্য, লিটন, নাইমদের পারফরম্যান্স হতাশ করেছে বিসিবিকে। তালিকায় নতুন করে যুক্ত মাহমুদুল হাসান জয়। যদিও তার অভিষেকটা এখন পর্যন্ত সাদা পোশাকে। তবে বিপিএলে নজর কাড়তে পারলে হয়তো তারও সুযোগ আসবে রঙিন পোশাকে। তবে ৪ ম্যাচে ৯৫ রান করা জয়ের পারফরম্যান্স এখনই রঙিন পোশাকের জন্য উপযুক্ত নয়।
সে ক্ষেত্রে পুনরায় প্রমাণের সুযোগের চেষ্টায় ইমরুল ও মিঠুন। চলতি আসরে ৫ ম্যাচে ১৩১ স্ট্রাইক রেটে তার রান ১৩৫। যেখানে তিনি আবার খেলেছেন ৮১ রানের একটি অপরাজিত ইনিংসও। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে শেষ দুই ম্যাচে তিনি খেলেছেন ওপেনিংয়ে। যেখানে দারুণ সফল ইমরুল। ওই দুই ম্যাচে তার রান ১০৯। অন্যদিকে সিলেট সানরাইজার্সের হয়ে ৫ ম্যাচে মিথুনের রান ১০৭। যেখানে আবার খেলেছেন ৭২ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস।
ইমরুল শেষবার ২০১৯ সালের নভেম্বরে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। অন্যদিকে মিথুন গত বছরের জুলাইয়ে শেষবার জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে জাতীয় দলের পোশাক গায়ে জড়াতে হলে বাকি ম্যাচগুলোতেও তাদের ধারাবাহিক পারফর্ম করতে হবে, এমন বার্তাই দিয়ে রাখলেন রাজ্জাক।