জাতীয় ডেস্ক :
কাগজের ব্যালট পেপারের থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটদান পদ্ধতি নির্ভরযোগ্য। অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থার পরিবেশ তৈরির পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। ইভিএম নিয়ে জনগণের মনে তৈরি হওয়া শঙ্কা দূর করতে প্রচারণার ওপর গুরুত্ব দেন তারা।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর বছর খানেক। রাজনৈতিক দলগুলো এখনো বিভক্ত ইভিএমের পক্ষে-বিপক্ষে। বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির একাংশ ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে পুরানো কাগজের ব্যালটে ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়ে আসছে। এদিকে আওয়ামী লীগসহ অন্যপক্ষ ৩০০ সংসদীয় আসনেই ইভিএমে ভোটগ্রহণের দাবি করছে।
ইভিএম নিয়ে শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সেমিনারের আয়োজন করে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম।
এ সেমিনারে বক্তারা বলেন, ইভিএম নিয়ে জনগণের শঙ্কা দূর করতে না পারলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে।
বুয়েটের উপ-উপাচার্য ড. আবদুল জব্বার খান বলেন, টেকনিক্যাল মানুষ এনে ইভিএমের সমস্যাগুলো দেখাতে হবে, আমাদের যারা এক্সপার্ট আছেন, তাদের দেখানো উচিত। মেশিনে ত্রুটি থাকতেই পারে, যদি পরিষ্কারভাবে সেটা শনাক্ত করতে পারা যায়, তাহলে আমাদের যারা এক্সপার্ট আছেন তাদের বলা যাবে ওই সদস্যাটা দূর করুন।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদ বলেন, যখন আমি গোপন কক্ষে যাচ্ছি, সেখানে আমার জায়গায় অন্য কেউ বাটন চাপছে কি না, এ নিরাপত্তার জায়গা আমাদের তৈরি করতে হবে। আর মানুষকে বোঝাতে হবে এমন কোনো সুযোগ নেই।
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত নিজ দেশে ইভিএমে নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ২০ বছর ধরে চলা এ পদ্ধতি ভোট কারচুপি ও সহিংসতা কমিয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি স্থগিত হওয়া গাইবান্ধার উপনির্বাচনের উদাহরণ টেনে বিশ্লেষকরা বলেন, অনিয়ম হলে এভাবেই নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়।
গাইবান্ধার উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ বন্ধ নিয়ে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান আবেদ আলী বলেন, এটি কী মাঠপর্যায়ে ইসির সঙ্গে দূরত্ব, নাকি এখানো কোনো সমন্বয়হীনতা আছে। এসব জায়গাতে আমাদের কাজ করতে হবে, মানে নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচন কমিশনের যে ক্ষমতা রয়েছে নির্বাচন বন্ধ করে দেয়ার সেটি প্রমাণ করেছে জাতির সামনে তারা, যে কোনো নির্বাচন তারা বন্ধ করতে পারবে, যদি কোনো অনৈতিক কাজ দেখা যায়।
এ সময় নির্বাচনে অংশ নিতে সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানান বক্তারা।