ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি আবির হোসেন সভাপতি এবং ডিবিসি টেলিভিশন প্রতিনিধি নাজমুল হুসাইন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) অবস্থিত প্রেস কর্নারে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তোতা। এছাড়াও নির্বাচন কমিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আলতাফ হোসেন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. কানন আজিজ।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি নুর আলম (নয়া শতাব্দী), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফ ইব্রাহিম (সমকাল), দপ্তর সম্পাদক জিসান নজরুল (সময়ের আলো), কোষাধ্যক্ষ খাদেমুল ইসলাম ফরহাদ (সারাবাংলা), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহিন রাজা (সংবাদ), সাহিত্য ও সাংস্কতিক সম্পাদক আহমাদ গালিব (ডেইলি মেসেঞ্জার) এবং ক্রীড়া সম্পাদক মানিক হোসেন (আলোকিত বাংলাদেশ)।
এছাড়া কমিটিতে কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে রয়েছেন মুনজুরুল ইসলাম নাহিদ (কালের কন্ঠ), আজাহারুল ইসলাম (জনকন্ঠ), আরিফ বিল্লাহ (দৈনিক শিক্ষা) ও ইরফান উল্লাহ (জাগো নিউজ)।
নির্বাচন পরবর্তী দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, ইউট্যাব ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নবনির্বাচিত সভাপতি আবির হোসেন বলেন, যাদের ভোটের মাধ্যমে আমি নির্বাচিত হয়েছি সকলকে ধন্যবাদ। আমার আগে যারা প্রেস ক্লাবে ছিলেন, তারা যেভাবে সুস্থ, ন্যায়নিষ্ঠ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করেছেন, সেই ধারা আমি আগামীতেও অব্যাহত রাখব। এই জন্য সকলের দোয়া, শুভকামনা এবং সহযোগিতা কামনা করে আমার বক্তব্য শেষ করছি।
ফল ঘোষণা শেষে উপাচার্য নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আশা করি, তাদের দৃষ্টি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৫ একরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার যোগ্যতা তারা অর্জন করবে। আমি চাই তারা তথ্যানুসন্ধানমূলক ও গঠনমূলক সাংবাদিকতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ইতিবাচক দিক ফুটিয়ে তুলবে। এখানে যারা সাংবাদিকতা করছে, তারা আমাদেরই ছাত্র। আমি তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি এবং তারা যেন নিজেদের লেখাপড়ায় মনোযোগী হয়ে ভালো সাংবাদিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও বলেন, বিদায়ী কমিটিকে আমার পক্ষ থেকে বিশেষ ধন্যবাদ ও স্যালুট কারণ তারা জুলাই ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার ছিল। আমি আশা করি, তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে এই দ্রোহের মানসিকতা ভবিষ্যতেও ধারণ করবে।
