ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম নিয়োগকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে উপাচার্য বিরোধী শিক্ষকদের একটি অংশ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়োগ বোর্ড বন্ধ রাখার এবং উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের একটি অংশ ও শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নিয়োগ বোর্ড চালু রাখার দাবি জানান।
এই ঘটনায় জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং গণিত বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সজিব আলীকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়
কমিটির অন্যরা হলেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনাম, ইবির কেন্দ্রীয় গবেষণার পরিচালক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান ও খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী।
অফিস আদেশে আগামী ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে, উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষক লাঞ্ছনা, শিক্ষকদের কণ্ঠরোধের প্রচেষ্টা, শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধনে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. জয়শ্রী সেন ও কোষাধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলামসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, আমাদের গতকালের শাপলা ফোরামের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ছিল যে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ইউজিসি কর্তৃক নির্দেশিত গুচ্ছ পদ্ধতিতে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সবকিছুতেই যদি উপরের নির্দেশ থাকে তাহলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তার অধিকার থাকে না। এভাবে একটা বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। এ বিষয়ে আমাদের শাপলা ফোরামের বিভিন্ন শিক্ষকদের একটি দাবি উঠেছে, গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় আমাদের একাডেমিক কাউন্সিল এবং শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্তে আমরা স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেব।