ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের প্রায় ১৯০০ নবীন শিক্ষার্থী নিয়ে ‘নবীন বরণ অনুষ্ঠান- ২০২৫’ এর আয়োজন করেছে শাখা ছাত্রশিবির। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ আয়োজন করে সংগঠনটি।
এসময় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ড. আব্দুল মান্নান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রেস প্রশাসক অধ্যাপক ড. এ কে এম মফিজুল ইসলাম, আল-হাদীস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি সম্পাদক হাফেজ আবু মুসা, ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক গোলাম জাকারিয়া ও শাখা সেক্রেটারী আবু ইউসুফ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এছাড়া তাদেরকে পবিত্র কুরআন, কলম, চাবির রিং, নোট প্যাড, বুকলেট, পরিচিতি, ছেলেদের জন্য টি-শার্ট, মেয়েদের জন্য হিজাব এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ইসলামের আহ্বান’ বই উপহার প্রদান করা হয়।
শাখা ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক আলী আফসার হামজা ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সভাপতি শোয়াইব আহমেদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা শুধু দুনিয়ার সফলতা চাই না, উভয় জগতের সফলতা চাই। রাসুল (স.) বিদায় হজ্জের সময় আমাদেরকে কুরআন এবং সুন্নাহ আঁকড়ে ধরতে বলেছিলেন। আমরা রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক জীবনের সব জায়গায় কুরআন আর সুন্নাহ আঁকড়ে ধরলেই সফলতা আসবে। আমরা কোরানের প্রত্যেকটা লাইন নিয়ে যত বেশি চিন্তা করব তত বেশি সমৃদ্ধ হবো। ইসলামকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারলে আবার একটি পূনর্জাগরন ঘটবে। আবার একটি ইসলামী সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।
নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা শুধু নিজের স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসোনি, মা-বাবা, পরিবার ও শিক্ষকদের আপনাদের নিয়ে স্বপ্ন রয়েছে। এসব ধারণ করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আপন করে নিজের মতো করে গড়ে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে হবে। জ্ঞান হচ্ছে এমন আলো, যা মানুষের মধ্যে পশুত্ব দূর করে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করা৷ তোমাদের মধ্যে যে প্রজ্ঞা, ফিতরাত রয়েছে সেগুলোকে জাগ্রত করে সমাজকে আলোকিত করার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়। আপনাদের সকল জ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য হতে হবে মানুষের কল্যাণের জন্য।
ছাত্র রাজনীতি নিয়ে বলেন, আমরা ছাত্র রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন চাই। আগে চলেছে শুধু গুম খুন রাহাজানি হত্যার রাজনীতি। এগুলো আর আমরা চাই না। আগে ধর্ষণে সেঞ্চুরি করে তা আবার প্রচার করে বেড়ানো হতো, এটাই হলো জাহেলিয়াতের রাজনীতি। এটা আর আমরা চাই না। কোনো গোলামীতন্ত্র আমরা চাই না। ইসলাম আমাদের এটা শেখায় না। যে রাজনীতি দিয়ে রাষ্ট্রের কল্যাণ করবে, শিক্ষার্থীদের কল্যাণ করবে, ক্যাম্পাসের সমস্যা আইডেন্টিফাই করে সমাধান বের করতে পারবে সেই রাজনীতি আমরা চাই।
