হোম অন্যান্যশিক্ষা ইবিতে সততা ফোয়ারা ও পানির প্ল্যান্ট চালুর দাবিতে মানববন্ধন

ইবিতে সততা ফোয়ারা ও পানির প্ল্যান্ট চালুর দাবিতে মানববন্ধন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 73 ভিউজ

ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা ‘সততা ফোয়ারা’ ও বিভিন্ন অনুষদের নিচে ‘বিশুদ্ধ পানির প্ল্যান্ট’ চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করের তারা।

মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই, শিক্ষার্থীদের থাকার সুস্থ পরিবেশ চাই’, ‘ভিসির দুয়ারে টোকা মারুন সততা ফোয়ারা চালু করুন’, ‘ইবির সৌন্দর্য সততা ফোয়ারা অনিবার্য’, ‘শিক্ষার্থীদের ২টি দাবি, সততা ফোয়ারা আর পানির প্ল্যান্ট’, ‘সততা ফোয়ারা বন্ধ কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘নিরাপদ পানি নিশ্চিত করুন, অবস্থাপনার মুখে তালা মারুন’ ও ‘প্রশাসন চোখ খুলুন, সততা ফোয়ারা চালু করুন’ সহ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্লেকার্ড প্রদর্শন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রশাসনের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার অভাবে সততা ফোয়ারার মতো দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা অকেজো হয়ে যাচ্ছে। ফলে ক্রমবর্ধমানভাবে ক্যাম্পাসে সৌন্দর্য হারিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব। কোনো ধরনের লুকোচুরি চলবে না। আমরা প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিতে চাই। এর মধ্যে যদি দাবি আদায়ে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে না দেখি আরো কঠোর আন্দোলনে যাবো।

তারা আরো বলেন, এর আগেও আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি, প্রশাসন তাতেও সাড়া দেয়নি। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আমরা আর ক্লাসে থাকতে পারি নাই। তাই আমরা রাস্তায় নেমে এসেছি।

এদিকে মানববন্ধন শেষে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বনি আমিন ও মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সাথে দেখা করতে যান। কিন্তু উপাচার্য তার কার্যালয়ে না থাকায় প্রক্টরিয়াল বডি তাদেরকে কার্যালয়ে যেতে বাঁধা দেন। একপর্যায়ে মানববন্ধনকারীরা প্রক্টরিয়াল বডির সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ান। পরে শিক্ষার্থীরা জোরপূর্বক ঢুকে কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে কার্যালয় ঘেরাও করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করেন।

এ বিষয়ে দায়িত্বরত প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন বলেন, তাদের ব্যানারে ছিলো তাদের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি। কিন্তু কি কারনে তারা জোরপূর্বক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলো সেটা বোধগম্য নয়। ফোয়ারা চালুর বিষয়ে আজ সকালে উপাচার্য বসেছেন। ইতোমধ্যে এটি ঠিক করার জন্য প্রকৌশল অফিসকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন