হোম অন্যান্যশিক্ষা ইবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ: হল খুলে দিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি

ইবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ: হল খুলে দিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 58 ভিউজ

ইবি প্রতিনিধি:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এসময় আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সমুহ খুলে দেওয়ার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন থেকে ‘নিপীড়ন ও বৈষম্যবিরোধী সচেতন শিক্ষক সমাজ’ ব্যানারে প্রতিবাদ র‍্যালি ও সংহতি সমাবেশ শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এতে ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামী শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেখ এ বি এম জাকির হোসেনসহ প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল দুটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে মিলিত হয় এবং কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় উভয়দিকে কয়েক কিলোমিটার পথ জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।

এসময় শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন। এছাড়া চলমান হত্যাকান্ডের অতিদ্রুত বিচার এবং অতিসত্বর শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করেন তারা।

সমাবেশে শিক্ষকরা বলেন, ‘আজকে আমরা গোটা জাতি বাকরুদ্ধ। আমরা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই আজকের পর থেকে যদি আমাদের কোন শিক্ষার্থীর বুকে গুলি চালানো হয়, কাউকে বেআইনিভাবে হয়রানি করা হয়, তাহলে আমরা শিক্ষক সমাজ বসে থাকবো না। আমরা জানি অনুমতি ছাড়া একজন পুলিশ সদস্যেরও গুলি করবার ক্ষমতা নেই। এত অল্প সময়ে এত সংখ্যক শিক্ষার্থীর প্রাণহানীর ঘটনা আমরা ইতিহাসে কখনোই খুঁজে পাবো না।’

তারা আরও বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে যে ভাঙচুর হয়েছে এগুলো আওয়ামী লীগ ও পুলিশের কারণে হয়েছে। তারা ছাত্রদের ওপরে নির্বিচারে গুলি করেছে, হামলা করেছে, যেগুলো আমরা দেখেছি। আজ থেকে আপনারা গণহত্যা, গণহয়রানি বন্ধ করেন। আপনারা ছাত্রদের পাশে দাঁড়ান।’

এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আর ৯ দফাতে নেই এখন এক দফাতে রূপান্তরিত হয়েছে। আর সেই দফা হলো স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পদত্যাগ। অতিসত্বর তাকে পদত্যাগ করতে হবে। আমার ভাইদের রক্তের ওপর দিয়ে কোন সংলাপ নয়। আমরা অসহযোগ আন্দোলনে রয়েছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে। সর্বশ্রেণির মানুষকে এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এছাড়া তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আর কোন আল্টিমেটাম দিতে চায় না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে হল খুলে দিতে হবে নচেৎ আমরা আমাদের মতো ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।’

এদিকে আন্দোলন চলমান অবস্থায় আন্দোলনকারীদের একটি গ্রুপ ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রবেশ করে এবং শাখা ছাত্রলীগের কার্যালয় ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল’ এর ‘দেশরত্ন’ শব্দটি মুছে দিয়ে স্বৈরাচার শব্দ লিখে দেয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন