অনলাইন ডেস্ক:
খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙার প্রচলন রয়েছে বিশ্বজুড়েই। ধর্মীয় তাৎপর্য তো রয়েছেই, পাশাপাশি মেডিক্যাল সায়েন্সেও এর দারুণ সব উপকারিতা রয়েছে। ফাইবার, পটাসিয়াম ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খেজুর ইফতারে খেলে কী কী উপকার পাবেন জেনে নিন।
- খেজুরে থাকা প্রাকৃতিক মিষ্টিতে প্রধানত গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ আছে, যা দ্রুত রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। তাই সারা দিন রোজা রাখার পর খেজুর খেলে শরীর দ্রুত সতেজ ও সবল হয়ে ওঠে।
- হজমে সহায়ক খাবার এটি। অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকার পর ভাজাপোড়া বা মসলাদার খাবার খেলে বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খেজুর খেলে সে ভয় নেই। এটি খুব সহজে হজম হয়ে যায়।
- খেজুরকে বলা হয় আঁশ, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিনের মতো অতি প্রয়োজনীয় কিছু পুষ্টি উপাদানের ‘পাওয়ার হাউস।’ এসব পুষ্টি উপাদান শরীরের ক্ষয়পূরণ করে।
- রোজায় অ্যাসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। নিয়মিত খেজুর খেলে এসব সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
- সারা দিন পানি না খাওয়ার ফলে শরীরে যে ঘাটতি থাকে, তা পূরণ করে খেজুরে থাকা পানি। শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে এবং রোজার সময় পানিশূন্যতা রোধ করে ফলটি।
- কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খেজুর খেলে সারাদিনের কার্বোহাইড্রেটের চাহিদার অনেকটুকুই মেটানো সম্ভব।
- সারাদিন না খেয়ে থাকার পর অনেকেই ইফতারে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। এতে অস্বস্তিসহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইফতারে খেজুর খেলে অতিরিক্ত ক্ষুধা হয় না। ফলে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার প্রবণতা কমে।