আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আবারও বিজেপিবিরোধী ইন্ডিয়া জোটে থাকা না থাকা নিয়ে নিজের অবস্থান বদল করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যদিও মাত্র কয়েক ঘন্টা আগেই এক নির্বাচনী সভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছিলেন, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় গেলে বাইরে থেকে সমর্থন দেবেন তিনি।
তবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক নির্বাচনী সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগের অবস্থান থেকে সরে আসার কথা বলেন। জানান, তিনি ইন্ডিয়া জোটে আছেন। ইন্ডিয়া জোট তিনিই করেছিলেন। ইন্ডিয়া জোটই কেন্দ্রে সরকার গড়বে।
গত বুধবার (১৫ মে) হুগলির চুঁচুড়াতে দলীয় প্রার্থী রচনা ব্যানার্জির হয়ে নির্বাচনী জনসভা করার সময় মমতা বলেন, বিজেপি এবার হেরে যাবে। ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে আমি বাইরে থেকে সমর্থন দেব।
এই মন্তব্যের পরই ভারতের বেশিরভাগ গণমাধ্যমে প্রধান শিরোনাম হন মমতা। স্বাভাবিকভাবেই বাইরে থেকে সমর্থন দেয়ার অর্থ মমতা ইন্ডিয়া জোটে নেই বলে ধরে নেয়া হয়। ফলে অনেকে এমনও খবর প্রকাশ করেন যে, ইন্ডিয়া জোট থেকে বেরিয়ে গেলেন মমতা।
তবে কয়েক ঘন্টা পরই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী গণমাধ্যমের ওপরই দোষ চাপান। বলেন, কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে।
চলমান ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের ইতিমধ্যেই চতুর্থবার ভোট শেষ হয়ে গেছে। আগামী ২০ মে পঞ্চম দফার ভোট। তার আগে মেদিনীপুরের দুটি জেলার দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারণা চালান মমতা।
এ সময় বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে কার্যত তুলোধুনা করেন তৃণমূল নেত্রী। একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করেন তিনি।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান বদল কিংবা অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হওয়ায় তীব্র সমালোচনা করেছে জোটের শরিক দলগুলো। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বামফ্রন্ট নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী কখন কি বলেন তার ঠিক নেই।
একইভাবে বিজেপিও বিষয়টিকে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছে। কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে আসন রফা করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার মেদনীপুরের নির্বাচনী সভায় দাঁড়িয়ে সেই প্রসঙ্গেও কথা বলেন মমতা। তিনি বলেন, বাংলায় কোনো জোট নেই। ইন্ডিয়া জোট হয়নি।
তবে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তিনি নিজে এই জোটের নাম ইন্ডিয়া রেখেছিলেন বলে দাবি করেন এবং ইন্ডিয়া জোটই কেন্দ্রে ক্ষমতায় বসবে বলেও মন্তব্য করেন।