বিনোদন ডেস্ক:
ঠাকুরগাঁওয়ে দেশের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির শুটিংয়ে মারামারি ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুটিং শুরুর কিছুক্ষণ পর চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনার কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে। পরে কিছু সময় বন্ধ রাখা হয় অনুষ্ঠানটির শুটিং।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পরে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় অবস্থিত রাজা টংকনাথের রাজবাড়িতে আয়োজিত ইত্যাদির অনুষ্ঠান ঘিরে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সূত্রপাত নিয়ে ইত্যাদি অনুষ্ঠানের পরিকল্পক, নির্মাতা ও উপস্থাপক হানিফ সংকেত বলেন, এদিন পাঁচ লাখের অধিক লোক সমবেত হয়। আমি যখন মঞ্চে এলাম শুনলাম, চারদিক থেকে তিন কিলোমিটারের মতো রাস্তা প্যাকড। তখন লোকজন বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কেউ চেয়ার-ছোড়াছুড়ি করছে। ম্যাচাকার অবস্থা তৈরি হয়। ওখানে নারী, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ ছিল। পুলিশ থামানোর চেষ্টা করছে, আমিও করছি।
তিনি বলেন, এ সময় আমি প্রশাসনকে ডেকে বললাম, ‘এভাবে অনুষ্ঠান করা যাবে না। মানুষ শান্ত হোক, তারপর অনুষ্ঠান শুরু করব। আপাতত আমরা অনুষ্ঠান কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখি।’ আমরাও অনুষ্ঠানের দৃশ্যধারণ বন্ধ করে দিয়ে লাইট বন্ধ করে দিলাম। জানিয়ে দিলাম, ‘অনুষ্ঠান আপাতত হচ্ছে না। আপনারা শান্ত হন।’ এ–ও অনুরোধ করেছি, ‘চলে যান। পরবর্তী সময় আমরা চিন্তা করব কী করা যায়।’ লোক যেতে তিন ঘণ্টা লেগে গেল।
অবশ্য এ ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে দাবি করছেন তিনি। তিনি বলেন, আমরাও বুঝিনি যে এত লোক হবে। কর্তৃপক্ষও বোঝেনি যে এত লোক হবে। আমাদের জায়গাটা আসলে আরও বড় হওয়া উচিত ছিল। আমরা যখন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তারা জানিয়েছিলেন-এটা তো গ্রামীণ এলাকা, এখানে অত লোক পাবেন? তবে অনুষ্ঠানের দিন লোক এসেছিলেন পাঁচ লাখের অধিক। যদিও এখানকার স্থানীয় লোকজন খুবই আন্তরিক। তারা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। লজ্জিত হয়েছেন।
ঘটনার পর ‘ইত্যাদি’র দৃশ্যধারণ নিয়ে হানিফ সংকেত বলেন, আমরা যখন অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিই, তখন স্বাভাবিকভাবে লোকজন কমে যেতে শুরু করে। নারীরা বাসায় ফিরে যান। এর মধ্যে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠান করতে পারব কি না, এ নিয়ে তারাও সন্দেহের মধ্যে ছিলেন। আমরাও তা-ই চেয়েছিলাম, না হলে তো সমস্যা। তবে, ঘটনার পর যখন শুটিং শুরু করেছি, সেখানে থাকা সবাই বেশ আন্তরিক ছিলেন। আমাদের অনুষ্ঠান যখন শেষ হয়, তখনো দেড় থেকে দুই হাজার মানুষ ছিলেন।