আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একাধিক শর্ত দিয়েছেন বলে দাবি করেছে ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠ তিনটি সূত্র। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে ন্যাটোর পূর্বদিকে সম্প্রসারণ বন্ধের লিখিত প্রতিশ্রুতি, রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, ইউক্রেনের নিরপেক্ষ অবস্থান এবং রুশভাষী জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
রয়টার্সের এক বিশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে, যা পুতিন ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক আলোচনার ভিত্তিতে প্রকাশ পায়। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা আলোচনায় পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির একটি খসড়া প্রস্তুত করতে সম্মত হন। তবে রাশিয়া জানিয়েছে, এই স্মারকলিপি চূড়ান্ত করতে কত সময় লাগবে, তা বলা সম্ভব নয়।
রয়টার্স জানায়, পুতিন চাচ্ছেন, ইউক্রেন, জর্জিয়া এবং মলদোভার মতো দেশগুলোর জন্য ন্যাটো সদস্যপদ চিরতরে বাতিল করা হোক। একইসাথে তিনি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং ইউরোপে রাশিয়ার জব্দ করে রাখা সম্পদের জটিলতা নিরসনের দাবি জানিয়েছেন।
রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ একটি শীর্ষ সূত্র বলেছে, ‘পুতিন শান্তি চান, কিন্তু যেকোনো মূল্যে নয়।’ যদি তিনি বুঝতে পারেন যে নিজের শর্তে শান্তি সম্ভব নয়, তবে সামরিক শক্তি বাড়িয়ে ইউক্রেন এবং ইউরোপকে বার্তা দিতে চান যে, ‘ভবিষ্যতে শান্তি আরও অসম্ভব হতে পারে।’
রাশিয়া বারবার বলেছে, যেকোনো শান্তি চুক্তির আগে ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণ নিশ্চিত করতে হবে। এর পাশাপাশি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়া দখলকৃত চারটি অঞ্চলের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দাবি করছে মস্কো।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইউরোপে চলমান সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতের অবসান চান, কিন্তু পুতিন যদি শান্তি আলোচনায় অংশ না নেন, তবে সেটা ‘আগুন নিয়ে খেলা’ হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, রাশিয়া যদি সমাধান খোঁজার প্রচেষ্টা বিলম্বিত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যেভাবে শেষ হবে: পাঁচটি সম্ভাবনা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যেভাবে শেষ হবে: পাঁচটি সম্ভাবনা
এদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্ররা বলছে, রাশিয়াকে ন্যাটো সদস্যপদের প্রশ্নে কোনো ‘ভেটো’ ক্ষমতা দেওয়া উচিত নয়। ইউক্রেন তাদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য পশ্চিমা শক্তির কাছ থেকে দৃঢ় নিশ্চয়তা চায়। তথ্যসূত্র: রয়টার্স