আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষিত হলেই কেবল যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন সংকট সমাধানের জন্য আয়োজিত সব উদ্যোগকে স্বাগত জানাবে। অন্যথায় মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে কোনো ধরনের আলোচনাকে স্বাগত জানাবে না ওয়াশিংটন।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২০ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।
কিরবি বলেন, ‘মার্কিন কর্তৃপক্ষ রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সংকট নিরসনে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ন্যায্য শান্তির ধারণাকে সমর্থন করে।’
জন কিরবি বলেন, ‘যেকোনো আলোচনাকে কেবল তখনই স্বাগত জানানো হবে যখন এটি বিশ্বাসযোগ্য এবং টেকসই হবে। যার অর্থ হলো, আলোচনার মূল শর্ত হতে হবে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিশ্বাস রাখা। একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি প্রস্তাবিত ১০ দফা শান্তি আলোচনার শর্তের ভিত্তিতে এটি শুরু হতে হবে।’
এদিকে, যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনকে আলোচনার টেবিলে আনতে চায় ফ্রান্স। এ জন্য দেশটি টোপ হিসেবে ইউক্রেনের সামনে ন্যাটোর সদস্যপদের বিষয়টি হাজির করতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে মন্ডের এক প্রতিবেদনে।
লে মন্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহের সোমবার (১২ জুন) ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাসভবন এলিসি প্রাসাদে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা পরিষদ এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে।
পরে গত মঙ্গলবার (২০ জুন) লে মন্ডেতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়া শর্তে যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাজি হয় তবে তা সবার জন্যই ভালো হবে।
তবে প্যারিসের এই উদ্যোগ রাশিয়ার মনঃপূত হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, রাশিয়া ন্যাটোকে একটি তার স্বার্থের জন্য নেতিবাচক সংগঠন বলে বিবেচনা করে। রাশিয়ার এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করার যেকোনো প্রচেষ্টা তার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ‘চূড়ান্ত বিপদসীমা।’
ন্যাটো রাশিয়ার নিরাপত্তা উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করতে অস্বীকার করার পর মস্কো গত বছর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। রাশিয়ার কর্মকর্তাদের দাবি, ন্যাটো আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেনকে অন্তর্ভুক্ত না করলেও নীরবে ইউক্রেনকে নিজেদের সঙ্গে একীভূত করে নিচ্ছে।
