আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইউক্রেনে সামরিক সংঘাতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের কথা স্বীকার করেনি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংসের তালিকা দিয়েছে রাশিয়া।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল আইগর কোনাশেনকভ বলেন, এই বিশেষ অভিযানে রাশিয়ার দিক থেকে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কিয়েভের উপকণ্ঠে এক সামরিক বিমান ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে।
বিপরীত দিক থেকে কয়েক হাজার রুশ সেনাকে হত্যার দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদোমির জেলেনস্কি। তবে কতজন রুশ সেনা হতাহত হয়েছে, তার সঠিক সংখ্যা দিতে তিনি বলেননি।
শুক্রবার সকালে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস জানিয়েছেন, রাশিয়া সাড়ে ৪০০ সেনাকে হারিয়েছে। তবে এসব তথ্য নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি সংবাদমাধ্যম।
এদিকে এদিকে ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিক্টর লিয়াসখো বলেছেন, রাশিয়ার হামলায় তিনটি শিশুসহ ১৯৮ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে তিনি বলেন, লড়াইয়ে এক হাজার ১১৫ বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদোমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক টুইটবার্তায় তিনি এমন দাবি করেছেন।
রাশিয়ার আগ্রাসনের পর কিয়েভে দুপক্ষের তুমুল লড়াই চলছে। এ সময়ে সামাজিকমাধ্যমে ভিডিও ও পোস্টের মাধ্যমে দেশের হালনাগাদ অবস্থার বর্ণনা দিচ্ছেন তিনি।
এর আগে ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে তিনি বলেন, ভুয়া খবরে বিশ্বাস করবেন না। আমি এখানে। আমরা অস্ত্র সমর্পণ করছি না। আমরা দেশকে রক্ষা করব। কারণ আমাদের অস্ত্র সত্য। আর আমাদের সত্য হচ্ছে আমাদের ভূমি, আমাদের শিশুরা। আমরা সবাইকে রক্ষা করব।
ভিন্ন একটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে নতুন কূটনৈতিক দুয়াv খুলে গেছে। আমাদের অংশীদারদের কাছ থেকে অস্ত্র ও সরঞ্জাম আসছে। যুদ্ধবিরোধী জোট সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
এর আগে ম্যাক্রন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ ও পরিস্থিতিকে ঘিরে সংকটে খাদ্য সরবরাহে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, এই সকালে আমি কেবল আপনাদের একটি কথাই বলতে পারি, তা হচ্ছে, যুদ্ধ স্থায়ী হচ্ছে। কাজেই তার পরিণতিও হবে ভয়াবহ ও স্থায়ী।