আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেনে দ্রুত একটি নির্বাচন আয়োজনের ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। আমেরিকান সাংবাদিক টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, তারা এতে রাজি হয়েছে। ইউক্রেনে নির্বাচন হবে।’
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির পাঁচ বছরের মেয়াদ ২০২৪ সালের মে মাসে শেষ হয়ে গেছে। এরপর তিনি সামরিক আইনের কথা উল্লেখ করে নতুন নির্বাচন দিতে অস্বীকৃতি জানান।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি আর জেলেনস্কিকে বৈধ শাসক মনে করেন না। তার বর্তমান অবস্থান একটি চূড়ান্ত শান্তি চুক্তি সইয়ের পথে বাধা হতে পারে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পও জেলেনস্কিকে ‘নির্বাচনবিহীন একনায়ক’ হিসেবে আখ্যা দেন। ট্রাম্প দাবি করেন, জেলেনস্কি ইউক্রেনে গভীরভাবে অজনপ্রিয়।
শুক্রবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে স্টিভ উইটকফ আরও বলেন, রাশিয়ার জনসংখ্যা এবং পারমাণবিক অস্ত্র অনেক বেশি হওয়ায় জেলেনস্কি ‘খুব কঠিন পরিস্থিতিতে’ আছেন।
উইটকফ বলেন, তাকে (জেলেনস্কি) বুঝতে হবে যে, সে সরে যেতে চলেছে। এখনই তার জন্য একটি চুক্তি সম্পন্ন করার সেরা সময়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে সম্ভাব্য সর্বোত্তম চুক্তি প্রদান করতে পারেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সংঘাতের সমাধানের জন্য একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা না থাকলে যে কোনো সহায়তাই ‘অস্থিতিশীল’ হয়ে যাবে। আমরা চিরকাল অর্থ দিতে পারি না।
এই মাসের শুরুতে পলিটিকো রিপোর্ট করেছিল, ট্রাম্পের প্রতিনিধিরা সদস্যরা জেলেনস্কির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পিওত্র পোরোশেঙ্কো এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া টিমোশেঙ্কোর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। উভয় রাজনীতিবিদ ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে রাশিয়ার সঙ্গে বিরোধের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন তারা।