আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে মনোনীত করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি সারাবিশ্ব থেকে আগত অভিবাসীদের দেশ হিসেবে পরিচিত দেশটিতে সংহতি আনবে। খবর এএফপির।
হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত ট্রাম্পের একটি নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, অনেক দিন আগে থেকেই ইংরেজিকে দেশের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
আদেশে বলা হয়, ‘একটি ঐক্যবদ্ধ ও সুসংহত সমাজের মূলে রয়েছে, জাতীয়ভাবে মনোনীত একটি ভাষা। একটি সুনির্দিষ্ট ভাষায় স্বাধীনভাবে ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা জাতীয় মূল্যবোধকে শক্তিশালী করবে এবং আরও সুসংহত ও দক্ষ সমাজ গঠন করবে।’
এই আদেশটি ১৯৯০-এর দশকে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আমলে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ রদ করে, যেখানে ফেডারেল সংস্থা এবং ফেডারেল তহবিল প্রাপ্ত সংস্থাগুলিকে অ-ইংরেজি ভাষাভাষীদের সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
নতুন আদেশে বলা হয়, ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় কতটা সাহায্য প্রদান করা হবে তা নির্ধারণের জন্য সংস্থাগুলো এখনো নমনীয় থাকবে।
নির্বাহী আদেশে আরও বলা হয়, ‘এই আদেশের কোনও কিছুই কোনও সংস্থার পরিষেবাগুলোতে কোনো পরিবর্তনের নির্দেশ দেয় না।’
এতে আরও বলা হয়, সংস্থা প্রধানদের ‘তাদের নিজ নিজ সংস্থার লক্ষ্য পূরণ এবং আমেরিকান জনগণকে দক্ষতার সঙ্গে সরকারি পরিষেবা প্রদানের জন্য কী প্রয়োজন তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’
ট্রাম্প তার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম সপ্তাহেই দেশটিতে তার ডানপন্থী স্ট্যাম্প লাগানোর জন্য একগুচ্ছ নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। তার অনেক আদেশকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে।
যদিও হোয়াইট হাউস স্বীকার করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫০টিরও বেশি ভাষায় কথা বলা হয়, তবে আদেশে বলা হয়েছে, ইংরেজি ‘আমাদের প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই’ জাতির ভাষা, এবং ‘আমাদের জাতির ঐতিহাসিক পরিচালনা দলিল।’ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এবং সংবিধান অন্তর্ভুক্ত সবই ইংরেজিতে লেখা হয়েছে।’
দেশটিতে ইংরেজি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাষা। তবে ২০১৯ সালের মার্কিন সরকারের পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রায় ৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষ বাড়িতে ইংরেজি ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় কথা বলে। অনুমান করা হয় আমেরিকার ৪ কোটির বেশি মানুষ বাড়িতে স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলে।