হোম এক্সক্লুসিভ আসন পেলেন না জাতীয় পার্টির যেসব হেভিওয়েট প্রার্থী

রাজনীতি ডেস্ক:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতায় ২৬টি আসনে ছাড় পেয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। সমঝোতা অনুযায়ী এসব আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের কোনো প্রার্থী থাকবে না। তবে এসব আসনে আওয়ামী লীগের যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তারা ভোটের মাঠে থাকবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে ছাড় পাওয়া এই ২৬ আসনে নাম নেই জাতীয় পার্টির অন্তত তিনজন হেভিওয়েট প্রার্থীর। তারা হলেন- দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-৬ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, দলের কো-চেয়ারম্যান ও জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি সালমা ইসলাম; দলের কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।

এর আগে গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা হয়। সবশেষ শনিবার এ বিষয়ে এ অগ্রগতি হয়। তবে জাপা আরও বেশি আসন দাবি করেছে। ফলে এ আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।

তবে ঢাকার কোনো আসন জাপাকে দিতে রাজি নয় ক্ষমতাসীনরা। টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মিত্র জাপার এবারের দাবি ছিল ৫০ আসন। ৩৫-এর কম আসনে সমঝোতায় রাজি নয়—এমন মনোভাবও জানিয়েছিল দলটি।

উভয় দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাড়তি আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হবে বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়; কিন্তু এতেও স্বস্তিতে নেই জাপা। দলটির অনেক হেভিওয়েট নেতার কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। কারণ, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয় নিশ্চিত করা কঠিন। ফলে আসন নিয়ে আলোচনা আরও দীর্ঘ হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

তিনি বলেন, আসনসহ নানা বিষয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা চলছে। নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত আলোচনা হতে পারে।

১৯৯৬ সালে জাপাকে নিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এরপর ২০০৮ থেকে সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত আসন ভাগাভাগি হয়েছে দুই দলের মধ্যে। এবার জাপা পৃথক নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত উভয়পক্ষই আসন বণ্টন করতে সম্মত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় চলছে আলোচনা।

জাপার একাংশ রওশনপন্থিরা এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। এ অংশে রওশন এরশাদ, সাদ এরশাদ, মশিউর রহমান রাঙ্গা, রুস্তম আলী ফরাজীসহ বর্তমান চারজন এমপি রয়েছেন। রওশনের পক্ষ থেকে জিএম কাদেরের কাছে দাবি ছিল, তার অনুসারী অন্তত ৬০ জনের মনোনয়ন নিশ্চিত করা। এ ছাড়া বহিষ্কৃতদের আবারও দলে ফিরিয়ে নেওয়া।

রওশন, সাদ ও রাঙ্গা ছাড়া জিএম কাদেরপন্থিরা আর কাউকে মনোনয়ন দিতে রাজি নয়। এ কারণে কাদেরপন্থিদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন বিরোধী দলের এ নেতা। সর্বশেষ তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কাদেরের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে তার সঙ্গে কোনো জোট না করারও আবদার করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন