জাতীয় ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত ও পায়ের রগ কেটে জনি মিয়া (৩৫) নামে এক যুবককে হত্যা করছে দুবৃর্ত্তরা। সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের তালশহর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জনি মিয়া ওই এলাকার মকসেন মিয়ার ছেলে। এসময় দুর্বৃত্তরা আওয়াল মিয়া (৪৮) নামে অপর এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, জনি মিয়া ও আওয়াল মিয়া রাত ১০টার দিকে তালশহর বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাজার সংলগ্ন সেতু অতিক্রম করতেই কয়েকজন তাদের ওপর হঠাৎকরে হামলা করে। এসময় জনি মিয়ার দুই পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে ক্ষতের সৃষ্টি করে। তার সঙ্গে থাকা আওয়ালকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকায় যাওয়ার পথে রাত ২টার দিকে নরসিংদী পৌঁছালে মারা যান জনি মিয়া।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে মিছিল করেন তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের গ্রামবাসী। তারা মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চান। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক অবরোধ করে মুহুর্মুহু স্লোগান দিয়ে হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবি জানানো হয়।
নিহতের বাবা মো. মুসলিম মিয়া জনান, তার ছেলে যুবলীগ করতেন। কী কারণে দুর্বৃত্তরা তার ছেলেকে হত্যা করেছে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না। তিনি তার ছেলে হত্যাকারীদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
ঘটনা সম্পর্কে তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. সোলেমান মিয়া বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সাবেক চেয়ারম্যান আবু সামা এবং তার লোকজন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। আমরা ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান চলছে। তবে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানতে পারিনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসা মাত্র থানায় মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।