হোম অন্যান্যসারাদেশ আশাশুনির শ্রীউলা লোনা পানিতে ভাসছে !চার পয়েন্টে বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন,স্বেচ্ছাশ্রমে তিনটি পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান সাকিল

আশাশুনির শ্রীউলা লোনা পানিতে ভাসছে !চার পয়েন্টে বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন,স্বেচ্ছাশ্রমে তিনটি পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান সাকিল

কর্তৃক
০ মন্তব্য 94 ভিউজ

আশাশুনি প্রতিনিধি…

আশাশুনির শ্রীউলা, প্রতাপনগর, আনুলিয়া ও আশাশুনি সদরসহ কয়েকটি স্থানে সুপার সাইক্লোন আম্পানে ঘরবাড়ী, বেড়ীবাঁধ মুহূর্তের মধ্যে লন্ড ভন্ড করে সর্ব শান্ত করেছে উপজেলার হাজার হাজার মানুষের। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের একটু মাথা গোজার ঠাই নেই বললে চলে। তারা বিভিন্ন সাইক্লোন শ্লেটার ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। জনগণের দুঃখ দুর্দশা আর হাহাকারের কথা চিন্তা করে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে যে মানুষটি নিরলস-ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন টানা ৩য় বারের ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জননেতা আবুহেনা সাকিল।

সরেজমিনে দেখা-গেছে সুপার সাইক্লোন আম্পানের আঘাতে উপজেলার উল্লেখিত ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে, ভেসে গেছে মৎস্য ঘের গবাদি পশু , রাস্তাঘাট, মসজিদ , মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অসংখ্য ঘরবাড়ি ক্ষতি সাধন হয়েছে। সবমিলে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ এ সকল ইউনিয়নে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে ঘূর্ণি ঝড় আম্পানের আঘাতে। ভাঙ্গন কবলিত কোলা, হাজরাখালী, হিজলিয়ায় এ সকল স্থান থেকে আনুঃ ১ কি: মিঃ ওয়াপদার বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে প্রাথমিকভাবে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়।

ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ঘূর্ণি ঝড় আম্পানের পক্ষকাল অতিবাহিত হলেও ৩টি স্থানে ইউপি চেয়ারম্যান সাকিলের নেতৃত্বে প্রাথমিকভাবে আটকানো সম্ভব হয়েছে। হাজরাখালী নামক ভাঙ্গন কুলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানটি বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর কাছে সরকারিভাবে দায়িত্ব দিলেও অদ্যাবধি তা আটকানো সম্ভব হয়নি। বরং ক্রমান্বয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। শ্রীউলা ইউনিয়নে মোট ২২টি গ্রাম রয়েছে এর মধ্যে শ্রীউলা, পুইজালা বয়ারশিং ,মহিষকুড়ের আংশিক বাদে বাকী গ্রামগুলি পানিতে ভাসছে।

দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে মানুষের আয়ের উৎস্য একমাত্র মৎস্য ঘের, ব্যাংক , এনজিও সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে অধিকাংশ মৎস্য চাষিরা ঘেরের কাজে ব্যয় করে থাকেন। বছরের শুরুতে মাছ ধরার মুখোমুখি সময়ে ঘূর্ণি ঝড় আম্পানের আঘাতে সর্বস্বান্ত করেছে ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নের হাজার হাজার মৎস্য ব্যবসায়ীদের। কতদিন পর হাজরাখালীর বাঁধটি আটকাতে পারবে তার কোন সময় সীমা সাধারণ মানুষের জানা নেই।

আর কত জোয়ারের পানি প্রবেশ করলে বাঁধটি নির্মাণ হবে এবং নিজ ভিটা বাড়িতে ফিরে যেতে পারব এমন প্রশ্ন পানি বন্দি মানুষের। তাদের প্রাণের দাবী এখন “ত্রাণ চাইনা,চাই টেকসই মজবুদ বেড়ীবাঁধ”। সম্প্রতি প্রধান মন্ত্রী শুধুমাত্র সাতক্ষীরা জেলার জন্য লবণ পানি ঠেকাতে পৌনে ৫শত কোটি টাকা একনেকে বরাদ্দ দিয়েছেন কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন করতে সময়ের প্রয়োজন বলে জানা-গেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন