হোম অন্যান্যসারাদেশ আশাশুনির শ্রীউলার হাজরাখালিতে ভাসমান সেতু উদ্বোধন করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাকিম

আশাশুনি প্রতিনিধি :

আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালি খালের উপর ‘জেলার প্রথম দীর্ঘতম ভাসমান সেতু’ উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সেতুর উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে এলাকার মানুষ জয় করলো হাজরাখালি বাওড়। ভাসমান সেতুর ওপর দিয়ে হালকা যানবহন ও মানুষ চলাচল শুর হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে ভাসমান সেতুর উদ্বোধন করেন, আশাশুনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ বি এম মোস্তাকিম।

হাজরাখালি বাজার সংলগ্ন জলমহল ও বাওড় বেষ্টিত হাজরাখালি গ্রাম। নদের তীরবর্তী হাজরাখালি গ্রাম থেকে বাওড়ের উৎপত্তি হয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বাওড়টি হাজরাখালি গ্রামকে বেষ্টিত করে রেখেছে। গ্রামের আরেক প্রান্ত খোলপেটুয়া নদের তীরবর্তী কোলা গ্রামে গিয়ে বাওড়টি শেষ হয়েছে। প্রায় ২০ হাজার জন অধ্যুষিত গ্রাম ১টি ওয়ার্ড নিয়ে। গ্রামবাসী যুগ যুগ ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে নৌকায় পারাপার হয়ে আসছিল। ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের প্রচেষ্টায় এ দুর্ভোগের অবসান ঘটলো বলে ভুক্তভোগীরা মনে করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত গ্রামবাসীর মধ্যে আঃ কাশেম নামের এক বয়োবৃদ্ধ আবেগাপ্লত কণ্ঠে বলেন, জীবন সায়াহ্নের পড়ন্ত বেলায় এমন দৃশ্য দেখে যেতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। ভাসমান এ সেতু নির্মাণের অন্যতম উদ্যোক্তা হাজরাখালি গ্রামবাসী। সেতু তৈরীর উদ্যোগে মিটিং করা হয়। তাতে সাড়াও মেলে আশাতীত। সরকারি অর্থায়নে শুরু করা হয় ৭শ ফুট দৈর্ঘ্যরে ভাসমান সেতু নির্মাণের কাজ।

সরকারি অর্থায়নের বাইরেও এলাকার অনেকে সামিল হন তাদের সঙ্গে। ৩ফুট প্রস্থের সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে ২৬৬টি বড় আকারের প্লাস্টিকের ব্যারেল। যা সংযুক্ত রাখার জন্য বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যারেলের ওপর দিয়ে চলাচলের জন্য দেওয়া হয় বাঁশ। বহু টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ভাসমান এ সেতুটি। এলাকাবাসীর দাবী ভাসমান সেতুর দু’পাশে ঢালাই সিড়ি নির্মাণ করার। এতে আরও ২/৩ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে বলে জানাগেছে। গত ৫ মে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। প্রায় ৩ মাস কাজ করে সেতু নির্মান সম্ভব হয়েছে।

শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা সাকিলের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য আকতার হোসেন, জি এম জালাল উদ্দিন, ইয়াছিন আলি, তহমিনা জোয়াদ্দার, মাড়িয়ালা জামে মসজিদ খতিব মাওঃ সাইদুল ইসলাম, মাড়িয়ালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজিয়ার রহমান, সহকারি শিক্ষক আবু হাসান, নওয়াবেকি গনমুখি ফাউন্ডেশনের নাকতাড়া শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল মালেক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ রায়হান সাদ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান পল্টু, সাধারণ সম্পাদক বাবলু, রেডিয়েন্স এন্ড ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের সভাপতি আব্দুল্লাহ, বিভিন্ন ওয়ার্ডের বতর্মান ও সাবেক ইউপি সদস্য, আওয়ামীলীগ নেতা আবু সাইদ সরদার, বিশিষ্ট সমাজ সেবক সঞ্জয় মিশ্রসহ এলাকার কয়েক শ’ মানুষ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন