এমএম সাহেব আলী, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) :
অপরাধ চিত্র পর্ব-০১ আশাশুনির বড়দলে ভাই পুলিশ বলে কথা সেই দাপটে মানুষকে মানুষ বলে গন্য করে না। এ দাপটে পুলিশ অফিসারের ছোট ভাই গ্যারেজ খালেক ওরফে কালো খালেক বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তার এহেন কর্মকান্ডের কেউই প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। যে প্রতিবাদ করেছে ও তাদের অপরাধের বিষয় প্রশাসনের কাছে স্বাক্ষী দেওয়ায় তাদেরকে ভয়ভীতি দেখানোসহ হুমকী দেওয়াসহ হয়রানী মুলক মামলা দিয়ে আর্থিক ভাবে ক্ষতি করে। ফলে কেউই ভয়ে তাদের ব্যাপারে মুখ খুলতে সাহস পায় না। সে কারনে এ সব অপরাধ কর্মকান্ড করেও রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের মৃত ওমর আলী গাজীর পুত্র গ্যারেজ খালেকসহ তার অন্য সহোদররা আঃ হামিদ গাজী, আঃ হান্নান গাজী ।
তারা গত ২৪/০২/২০২২ তারিখে বেলা ২টার দিকে প্রকাশ্যে পাওনা টাকা চাওয়ার অপরাধে গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের আনিছ গাজীর স্ত্রী সালমা খাতুনকে মারপিট করে গোয়ালডাঙ্গা বাজারে মোটর সাইকেল গ্যরেজের ভিতরে আটক করে রাখে। এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধু বাদী হয়ে সাহস করে আশাশুনি থানায় এজাহার দিলে ওসি মোহাম্মদ মোমমিনুল পিপিএম এসআই হাবিবুর রহমানকে ঘটনার নির্দেশ দেন। তিনি তদন্ত করে ওসিকে ঘটনার সত্যতা অবহিত করলে গত ০৯/০৪/২২ তারিখে ১০নং মামলা দায়ের করে।
এ ছাড়া একই দিনে রাতে গ্যারেজ খালেক গৃহবধুকে ধর্ষনের চেষ্টা কালে তাকে কৌশলে আটক করে চিৎকার করতে থাকলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসার আগেই খালেকের ভাই আঃ হামিদ গাজী ও আঃ হান্নান গাজী খবর পেয়ে সেখানে এসে আটক থাকা ভাইকে উদ্ধারে দরজার শিকল খুলে ভিতরে ঢুকে তাকে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গৃহবধুকে বেপোরোয়া মারপিট করে সেখানে ফেলে রেখে ভাই খালেককে নিয়ে যায় ততক্ষনে আশপাশের লোকজন উপস্থিত হলে তাদের উগ্র ভাবমুর্তি দেখে কেউই বাধা দেয়নি।
তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার সময় বলে এ মহিলাকে কেউ সহযোগিতা করলে ও এব্যাপারে কাউকে কিছু বললে অবস্থা ভয়ঙ্কার হবে হুমকী দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় বিজ্ঞ সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যার্তন দমন আদালতে ০৮/০৩/২০২২ তারিখে ৯০/২২ পিটিশন মামলা দায়ের করেন। এ সব অপরাধ চিত্র তুলে ধরে দৈনিক যশোর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা সহ অসহায় মহিলাকে নিয়ে আশাশুনি থানার সাহসী সৎ ন্যায় নিষ্টাবান ওসি মোমিনুল ইসলাম পিপিএমকে তাদের অপরাধের ব্যাপারে জানালে তিনি মামলা রেকর্ড করে।
এ ঘটনায় সাংবাদিক সাহেব আলী সহযোগিতা করা সহ কেন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করল ,এতে চরম ক্ষিপ্ত হয়ে তারা সাংবাদিক সাহেব আলীর উপর গোয়ালডাঙ্গা বাজারে তিন রাস্তার মাথায় রাতে অহেদ আলীর ফলের দোকানের সামনে হামলা করার চেষ্টা করে ব্যার্ত হয়ে খুন জখমের হুমকী দেয় । এ ব্যাপারে সাংবাদিক সাহেব আলী বাদী হয়ে একটি জিডি এন্ট্রি করে। আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোমিনুল ইসলাম পিপিএম তাদের সমস্ত কর্মকান্ড শোনার পর তদন্ত করে
গত ১২ এপ্রিল পুলিশ মারপিট ও বেআইনী ভাবে গৃহবধুকে আটক রাখার মামলার প্রধান আসামী গ্যারেজ খালেককে গ্রেফতার করে। অপর তিন আসামী সহোদর ও খালেকের স্ত্রী পলাতক আছে তবে পুলিশ তাদের গ্রেফতারী অভিযান অব্যহত রেখেছে।
এ বিষয় এলাকায় খোজ খবর নিতে গেলে সাবেক ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম, সমাজ সেবক সাঈদ মোড়ল, তানভীর হার্ডওয়্যারের মালিক মনিরুল ইসলাম মনি, দীন মজুর আনিছ ও তার স্ত্রী সালমা খাতুনসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান তার ভাই একজন পুলিশ হওয়ায় সেই দাপটে তার খুশিমত অপরাধ কর্মকান্ড করছে। তাদের বিষয় কেউ কিছু ভয়ে বলতে চায় না। অপরাধ করতে করতে সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ফলে এলাকার মানুষ তাদের এহেন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে আর তখনি আশাশুনি থারার ওসি সাহসী ভুমিকা নিয়ে অপরাধ দমনে গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের অপরাধ জগতের খালেককে গ্রেফতার করে। তাকে গ্রেফতার করায় এলাকার মানুষ আনন্দিত হয়ে সাহসী ওসিসহ থানা পুলিশকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।
