হোম অন্যান্যসারাদেশ আশাশুনির বড়দলে জমি নিয়ে বিসাক্ত পদার্থ মিশানো দুধ পান করিয়ে দেওয়ায় শিশু পুত্র শুভ’র অবস্থা আশাংকাজনক

আশাশুনি প্রতিনিধি :

আশাশুনির বড়দলে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে শিশু পুত্র শুভকে বিসক্ত পদার্থ মিশানো দুধ পান করানোর অভিযোগ পাওয়াগেছে। শিশুটিকে আশাংকাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাতে দিকে উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বুড়িয়া গ্রামে।

থানায় লিখিত অভিযোগে জানাগেছে বুড়িয়া গ্রামের মহেন্দ্র নাথ রায়ের পুত্র মৃনালকান্তি রায়দের সাথে একই গ্রামের হরিমন রায়ের পুত্র পঞ্চানন রায় গং’রা দীর্ঘদিন যাবৎ যায়গা জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে আসছিলো । বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ জায়গা জমি ছেড়ে দিতে খুন জখমের হুমকীসহ বিভিন্নভাবে হয়রানী ও ক্ষয়ক্ষতি করে যাচ্ছিল। তবুও মৃনালকান্তি গংরা রক্ত ক্ষয়ি সংঘর্ষে না যেয়ে নিরবে সহ্য করে আসছিলো।

কিন্ত এরপরও পঞ্চানন গংরা বড় ধরনের ঘটনার পরিকল্পা মোতাবেক ভক্ত রায়ের পুত্র শুভরায় (১০) কে ঘটনার দিন সন্ধ্যা রাতে একই গ্রামের অশ্বিনী মন্ডলের পুত্র বিজন মন্ডলের কন্যার বিবাহ অনুষ্ঠান হচ্ছিল। উক্ত বিবাহ অনুষ্ঠানে মৃনাল কান্তি রায়ের ভাইপো ভক্ত রায়ের পুত্র শুভরায় (১০) সেখানে যেয়ে গেটের সামনে দাড়িয়ে থাকে।

এরপর বর আসার পর গেটে বরকে দুধ পান করায় ওই সময় বিয়ে বাড়ীর লোকজনসহ আত্মীয় স্বজনরা ব্যাস্ত হয়ে পড়ে সেই সুযোগে একই গ্রামের হরিমন রায়ের পুত্র পঞ্চানন রায়ের নেতৃত্বে তার স্ত্রী দীপালী রানী রায়, পুত্র জয় প্রকাশ রায় ও ভঞ্জন রায়ের স্ত্রী চম্পারানী রায় দলবদ্ধ হয়ে শুভকে জোর পূর্বক ধরে নিয়ে বিজনের ঘরের পিছনে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে দুধ পান করতে বলে কিন্তু সে পান করতে রাজি না হওয়ায় তাকে জোর পূর্বক বিসক্ত পদার্থ মিশানো দুধ খাওয়ায়ে দেয়।

এরপর সেখান থেকে সকলেই তাকে রেখে বিবাহ অনুষ্ঠানে চলে আসে। শিশুটি কান্নাকাটি করতে থাকলে বিয়ে অনুষ্ঠানে আসা লোকজন টের পেয়ে সেখানে যেয়ে শিশুটিকে জিজ্ঞাসা করে তোমার কি হয়েছে তুমি কাঁদছো কেন, এসময় সে কাঁদতে থাকে ও বলে বাড়ী যাব। তখন উপস্থিত লোকজন তাকে বাড়ী যেতে বললে সে বাড়ীতে যাওয়ার পথিমধ্যে কয়েকবার বমি করে এ সময় তাকে খুজতে আসা দিদিমা কুসুম রানী, জেঠি মা যুথিকা রানী রায় তাকে বমি করা অবস্থায় দেখে দ্রুত বাড়ীতে নিয়ে যেয়ে মাথায় পানি দিতে থাকে।

এরপর সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রাম্য ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে আসে। ডাক্তার এসে দেখে তার শরীর নীলবর্ন হয়েগেছে ও অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। তখন তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শদেন। কিন্তু বাড়ীর লোকজন তার গায়ের রং নীল বর্ন দেখে আশাশুনি হাসপাতালে না এনে সাপে কামড় দিয়েছে কিনা উঝাকে ডেকে নিয়ে আসলে তিনি ঝাড় ফুক করে বলে সাপে কামড়ানোর কোন উপসর্গ না পেয়ে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। এর তারা দ্রুত আশাশুনি হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগে কর্মরত ডাক্তার শিশুটর অবস্থা খারাপ দেখে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।

বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি আশাংকা জনক সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ব্যাপারে কর্তব্যরত ডাক্তারের ব্যবস্থা পত্রে জানাগেছে তাকে বিসক্ত পদার্থ মেশানো কিছু খাওয়া পড়েছে। আশাশুনি থানার ওসির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এক্ষুনি কিছু বলা যাবে না তবে অসুস্থ শিশুর কাকা মৃনালকান্তি রায় বাদী হয়ে ৪জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।

এস,আই নবাব আলীকে ঘটনার ব্যপারে যথাযথ তদন্ত করে আমাকে জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এস,আই নবাব আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে যধাযথ তদন্ত করে ওসিকে অবহিত করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিলো বলে শিশুটির পরিবার জানান। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনসহ তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসল রহস্য পাওয়া যাবে বলে দাবী করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার সহ এলাকাবাসী।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন