হোম অন্যান্যসারাদেশ আশাশুনির কাদাকাটিতে সরকারি ইজারাকৃত জলমহাল জবর দখলের চেষ্টা, মাছ লুটপাটে বাঁধা দেওয়ায় ঘের মালিককে পিটিয়ে জখম

আশাশুনি প্রতিনিধি :

আশাশুনির কাদাকাটিতে সরকারি ইজারাকৃত জলমহাল জবর দখলের চেষ্টা ও মাছ লুটপাটে বাঁধা দেওয়ায় ঘের মালিককে মারপিট করে আহত করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের কাদাকাটি মৌজায় হলদেপোতা নদীর উত্তর বিলে সরকারি ইজারাকৃত জলমহালে।

এব্যাপারে থানায় লিখিত এজাহারে ও এলাকা ঘুরে তথ্য অনুসন্ধানে জানাগেছে কাদাকাটি গ্রামের মইনুল সরদার এর পুত্র মেকাইল ইসলাম সহ ১২ জন পার্টনার শীপে আশাশুনি থানাধীন কাদাকাটি মৌজার হলদেপোতা নদীর উত্তর বিলের সরকারি জলমহাল সরকারের রাজস্ব দিয়ে ইজারা গ্রহন করে শান্তিপূর্ন ভাবে দীর্ঘদিন যাবত মৎস্য চাষ করে আসছে।

উক্ত জলমহালটিতে মাছ হওয়া দেখে লোভ ও লাভের বশবর্তী হয়ে একই গ্রামের কিছু ব্যক্তি জবর দখলের পায়তারা করে আসছিল। তাদের ষড়যন্ত্র অনুযায়ী জলমহালটি ইজারা নিয়েছি এমন কথা জানান দিয়ে ঘটনার দিন রাতে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র সজ্জিত হয়ে মাছ ধরার সরঞ্জমাদি নিয়ে একই গ্রামের হাকিম সরদার এর পুত্র এলাকার ত্রাস বিভিন্ন মানুষের ঘের ভেঁড়ী দখলকারী বাহীনির প্রধান হাফিজুল সরদার নেতৃত্বে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী মৃত আব্দুস সাত্তার সরদার এর পুত্র লাভলু সরদারের নির্দেশে মৃত তকিম উদ্দীন বেগ এর পুত্র গোলাম রসুল বেগ, মৃত কোরমান মোড়ল এর পুত্র সামছুল মোড়ল, মফি সরদার এর পুত্র সবুজ সরদার, হাকিম সরদার এর পুত্র মফিজুল সরদার, আগরদাড়ীয়া গ্রামের হাসান সরদার সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন উক্ত জলমহালে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে জবর দখলে নিতে জলমহালের নেট পাটা কেটে দিয়ে বেড় জাল ও খেওলা জাল দিয়ে বাগদা চিংড়ী সহ বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ মারতে থাকলে জলমহালের মালিক মিকাইল ইসলাম জানতে পেরে দ্রুত সেখানে যেয়ে বাঁধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করিয়া জখম করে। সে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে গেলে জলমহালটি জবর দখলকারীর চেষ্টা কারীরা তিন লক্ষ টাকার মত বাগদা সহ বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ লুটপাট করে নেওয়া সহ আহত জলমহালের মালিক মেকাইল ইসলাম এর কাছে থাকা ২০হাজার টাকা মুল্যের একটি স্যামসাং টার্চ ফোন কেড়ে নেয়।

তাছাড়া তার জামা কাপড় ছিড়ে ছুটে পকেটে থাকা বার শত টাকা নিয়ে নেয় এবং জলমহালে থাকা নেট, পাটা ও জাল কাটা সহ বিভিন্ন জিনিষ পত্র ভাংচুর করে ৫৫ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে। কিছুক্ষন পর তার জ্ঞান ফিরলে এ সময় সে ডাকচিৎকারে জলমহালের অন্য পার্টনার সহ আশপাশের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসতে দেখে তারা সেখান থেকে কিছু সময়ের জন্য পিছু ঘটলেও পরবর্তীতে আবারও উক্ত জলমহলে প্রবেশ করে মাছ লুটপাট করা অব্যহত রাখেছে। তাছাড়া আশফড়ন করছে তাদের কাজে কেউ বাঁধা দিলে তাকে পিটিয়ে লাশ বানিয়ে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে বলে জানাগেছে।

এ ঘটনায় ইজারাকৃত জলমহালের মালিক কাদাকাটি গ্রামের মিকাইল ইসলাম বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় সাত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞত নামা আরও ৭-৮জনকে আসামী করে লিখিত এজাহার দায়ের করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঐ এলাকায় সরকারী ইজারাকৃত জলমহল জবর দখলের চেষ্টা ও মাছ লুপপাট করা সহ ঘের মালিককে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় সেখানে বড় ধরণের রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংখ্যা রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন