আশাশুনি প্রতিনিধি :
আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মির্জাপুর গ্রামে থেকে মৃত ইসহাক সানার ছেলে রুহুল আমিন সানা (৪৫) ও তার চাচাত ভাই মতিয়ার রহমান সানার ছেলে সাদেকুল ইসলাম (৫৮) একসঙ্গে পাইকপাড়া ফুটবল খেলা মাঠে খেলা দেখতে যেয়ে খেলা না হওয়ায় বাড়ি ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধা ৬টার দিকে মির্জাপুর গ্রামের ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দীন এর বাড়ির সামনে পৌঁছালে ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দীন ও সাতক্ষীরার আলোচিত বিএনপি নেতা আমান হত্যা মামলার আসামি বিএনপি নেতা মোক্তার হোসেনের নির্দেশে মোসলেম সানা, শাহাদত সানা, হাসান সানা, সিদ্দিক সানা, শাহিনুর সানা, সালাম সানাসহ ১০/১২ জন পরিকল্পিত ভাবে রামদা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, শাবল, হাতুড়ি, চাপাতি, কেরেজ বাশের লাঠি ও আধলা ইটসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় স্যমস্যাং গ্লাক্সি মোবাইল ফোন ও নগদ ১৫০০ টাকা সিন্তাই করে নেয়।
এঘটনায় রুহুল আমিন সানা ও সাদেকুল ইসলাম গুরুতর অবস্থায় প্রথমে আশাশুনি হাসপাতালে এরপর চিকিৎসার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে স্থায়ীভাবে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে তাদের অবস্থা আশংখা জনক। সামনে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন ও বিএনপি নেতা মোক্তার হোসেন নাশকতা মামলার আসামি ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে একটি রিজাভ বাহিনী গঠন করে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মুঠো ফোনে শাহাবুদ্দীনের কাছে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এলাকায় বর্তমানে চরম উত্তেজনা অবস্থা বিরাজ করছে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এলাকাবাসী ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন অমুক ও মোক্তার বাহিনীর সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ গোলাম কবির জানান, এ ঘটনায় আমি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে তদন্ত শেষে ঘটনা সত্যতা প্রমানিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।