আশাশুনি প্রতিনিধি :
আশাশুনির জামালনগরে সাবেক স্ত্রীকে অপহরনের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়াগেছে। এ অভিযোগে মাদকাসক্ত সাবেক স্বামীসহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানায় লিখিত এজাহার সুত্রে জানা গেছে বড়দল ইউনিয়নের জামালনগর গ্রামের সিদ্দিক গাজীর পুত্র নুর ইসলাম গাজীর সাথে জামালনগর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা সন্তান রুহুল আমিন গাজীর কন্যা রুমা খাতুনের বিগত ৬বছর পূর্বে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়।
জামাই মেয়ের সুখে রাখার জন্য কন্যার পিতা সাধ্যমত সাংসারিক আসবাবপত্রসহ আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। তারা সংসার জীবনে সুখে শান্তিতে দিন কাটাচ্ছিল এরই মধ্যে তাদের ঔরষে একটি পুত্র সন্তান জন্ম হয়। রুমার স্বামী প্রায়ই নেশা করে বাড়ী ফিরত।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া ঝাটি হতো সে সময় অসময় স্ত্রীকে অত্যাচার নির্যাতন করতো। এর পরেও সংসার ও সন্তান কথা চিন্তা করে সকল অত্যাচার নির্যাতন নিরবে সহ্য করে আসছিলো। কিন্তু দিনের পর দিন মাদকাসক্ত স্বামীর অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে ফলে সহ্য না করতে পেরে প্রাণ রক্ষায় মাদক সক্ত স্বামীকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।
এ বিষয়ে রুমা তার পিতা মাতা ও চাচাসহ আত্মীয় স্বজনদের জানিয়ে গত ১৪/০৭/২০২১ তারিখে মাদকাসক্ত স্বামীকে স্ত্রী রুমা খাতুন তালাক প্রদান করে সারা জীবনের জন্য স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক বিচ্ছেদ করে অনেক কষ্টে সাজানো সংসার ছেড়ে ৪বছরের শিশু পুত্রকে নিয়ে প্রিত্রালয়ে চলে আসে। স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক দেওয়ার তালাক নামার কপি হাতে পাওয়ার পর সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
এক পর্যায় এক পর্যায় সাবেক স্ত্রীকে হুমকী দিয়ে বলে কত দিন তোর বাপ চাচারা তোকে আটকিয়ে রাখে আমিও দেখে নেব। এ ব্যাপারে পরের দিন সাবেক স্ত্রী রুমা খাতুন বাদী হয়ে ১৫/০৭/২০২১ তারিখে আশাশুনি থানায় ৫৮৬নং একটি জিডি দায়ের করে করেন। থানায় জিডি দায়ের করায় আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
এক পর্যায় গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করতে থাকে। সে মোতাবেক গত ২৬ জুন রাতে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী নুর ইসলাম গাজী তার সঙ্গ পঙ্গদের নিয়ে সাবেক স্ত্রী রুমা খাতুনকে তার পিতার বাড়ী হইতে অপহরনের চেষ্টা করে।
এ সময় রুমার ডাক চিৎকার শুনে তার পিতামাতাসহ আশপাশের লোকজন তাদেরকে ধাওয়া করলে অন্যান্যরা পারিয়ে গেলেও তালাকপ্রাপ্ত স্বামী নুর ইসলাম গাজীকে ধরে ফেলে। সে ধরা পড়ার পর বলে এবারের মত আমাকে ক্ষমা করে দাও আমি ভুল করেছি আর কখনো করব না আমাকে ছেড়ে দাও।
তখন রুমার পিতা মাতাসহ আত্মীয় স্বজন ও আশাপাশের লোকজন জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা উপস্থিত হয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করতে বললে রুমার পিতা পুলিশকে জানিয়ে আটককৃত সাবেক জামাতা নুর ইসলারমর অভিভাবদের ডেকে তাদের কাছে তাকে তুলে দিয়ে এবারের যাত্রার মত রেহাই দেন।
এ ব্যাপারে রুমা খাতুন বাদী হয়ে সাবেক স্বামী নুর ইসলামকে প্রধান আসামী করে কয়েক জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে রুমা ও তার পিতামাতাসহ গ্রামবাসী মাদকাসক্ত সাবেক স্বামীসহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।