এম এম সাহেব আলী আশাশুনি প্রতিনিধি :
আশাশুনিতে শীর্ষ সন্ত্রাসী আলাউদ্দীন (লাকি) বাহিনীর হামলায় ইউপি’র অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুর এবং আহত হয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন। বুধবার সকাল ৮টায় উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের মহীষকুড় মৎস্য সেটের সামনে ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় এই ঘটনাটি ঘটে। শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা সাকিল জানান, আলাউদ্দিন (লাকি) তার বাহিনীর হাসান, ফারুক, রাশেদ, সাহেদ, রাসেল, ইয়াসিন, হামিদসহ আরও ১৫ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসীরা লোহার রড, শাবল ও চাইনিজ কুড়াল,রামদা দিয়ে আমার ও আমার লোকজনের উপর হামলা করে এবং ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় ভাংচুর। তিনি আরো জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে ভেড়িবাঁধ ভাঙ্গন কবলিত এলাকার অসহায়দের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ টাকা চাঁদা চাইলে আমি তাদেরকে বলি এটা গরীব অসহায়দের জন্য সরকার দিয়েছে যারা প্রকৃত পাওয়ার যোগ্য তারা পাবে আমি কোন চাঁদা দিতে পারব না এ কথা বলার সাথে সাথে ওই সন্ত্রাসী বাহিনীরা লাকীর নেতৃত্বে আমার অফিসে এসে হামলা চালায়। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন লাকি বাহিনীর বিরুদ্ধে এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মৎস্য-ঘের লুটপাট, বাড়ি ভাঙচুরসহ চুরি করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা আরো জানান, গত কয়েক দিন আগে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা ভেড়িবাঁধ ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় মাছধরা কেন্দ্রিক চাঁদা চাওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলসহ সাধারণ জনগণের সাথে শীর্ষ সন্ত্রাসী লাকি বাহিনীদের বাকবিতণ্ডা ঘটে। আলাউদ্দিন লাকি এক সময় করে চুরি করে বেড়াতেন সেখান থেকে চোরের সরদার এবং পরবর্তীতে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাত বাহিনী গড়ে তোলে এলাকায় ত্রাস ও নিজের সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে। ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল তার চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রতিবাদ করলে এরই ধারাবাহিকতায় ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুর করাসহ মারপিট করেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শ্রীউলা ইউনিয়নের রশিদ মোড়লের পুত্র আমিনুল ইসলাম, সুরমান আলী গাজীর পুত্র রহিস উদ্দিন গাজী, সোবহান গাজীর পুত্র রুস্তম গাজী, ইমান আলী মোড়লের পুত্র রহিম মোড়ল, মগরোব মোড়লের পুত্র গ্রাম পুলিশ কহিনুর মোড়ল, তালেব আলী সরদারের পুত্র মোবারক সরদার, ইউপি চেয়ারম্যানের ড্রাইভার আব্দুল্লাহ আল মামুন, রশিদ মোড়লের পুত্র বিল্লাল মোড়ল, অবেদ আলীর পুত্র জাহাঙ্গীর গাজী, গফুর গাজীর পুত্র শফিকুল গাজী। আহত অনেকের আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এবং কয়েকজনের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত রুস্তম গাজীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে খুলনায় রেফার করা হয়েছে । আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে আর যদি কেউ আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হামলাকারী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।