আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনিতে বিদ্যুৎ লাইন দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। পুন:তদন্ত স্থলে হাজির না হওয়ার জন্য ইউপি সদস্য নীলকণ্ঠ গাইনের সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা বাদী পক্ষের জীবন নাশের হুমকি ও লাঠি সোটা নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ফুসে উঠেছে, চলছে চরম উত্তেজনা। বিগত ০৩/০৫/২০ তারিখে আশাশুনি উপজেলার হেতাইলবুনিয়া ও বাইনতলা গ্রামবাসী প্রত্যেকের নাম, পিতার নাম, গ্রাম, স্বাক্ষর ও মোবাইল নম্বর সম্মিলিত একটি অভিযোগ বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ও হেতাইলবুনিয়া গ্রামের মৃত নীরোদ গাইনের পুত্র নীলকন্ঠ গাইনের বিরুদ্ধে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাখিল করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির আলীফ রেজা তাৎক্ষণিক বড়দল (ভূমি) সহকারী কর্মকর্তা রনজিত কুমার মণ্ডলকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা গোপনে ও সরেজমিনে উভয় পক্ষকে দিন ধার্য করে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ঐসময় গণ স্বাক্ষরিত বাদীগণ ছাড়া আরও কয়েকজন টাকা দেওয়ার বিষয়টি ভিডিও বক্তব্যের মধ্যে স্বীকার করেন। গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের নিকট হতে প্রধান মন্ত্রীর ঘোষণাকে পুঁজি করে জন প্রতি ২৭০০-৩০০০ টাকা করে আদায় করে আত্মসাতের ঘটনাটি প্রমাণিত হয়। এবং তিনি মিটার দেওয়ার নাম করে আবাও প্রতারণা করে ৬৫০ টাকা জনপ্রতি দাবী করেন। ওই সময় ঘটনা স্থলের উপস্থিত শত শত এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন ধূর্ত ইউপি সদস্য নীলকণ্ঠ গাইন। তখন নীলকণ্ঠ গাইন উদ্ধত কণ্ঠে সকলকে মামলা হামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে তার লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তারই ফল শ্রুত টাকা আত্মসাৎকারী সুচতুর ইউপি সদস্য বিষয়টি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে পুন: তদন্তের দাবী করেন। পুন:তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন সুলতানা ৭ই জনু রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে বড়দল ইউনিয়ন (ভূমি) অফিসে উপস্থিত হন। এদিকে (ভূমি) অফিস বড়দল বাজার মধ্যে অবস্থিত অন্যদিকে রবিবার বড়দল বাজারের বৃহত্তম হাট বার হওয়ায় ইউপি সদস্য নীলকণ্ঠ গাইন তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাদীপক্ষকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন। তদন্তকারী কর্মকর্তার নির্দেশনা ছিল করোনা কারণে উভয় পক্ষের মাত্র ৩ জন করে উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু ইউপি সদস্য নীলকণ্ঠ গাইন সেটা না মেনে শতাধিক লোকজন এবং ইউপি চেয়ারম্যান ও পরিষদের সকল সদস্যকে নিয়ে তিনি তদন্ত স্থলে উপস্থিত থাকেন। এদিকে তিনি গোপনে ও প্রকাশে বিগত দিনের তদন্তস্থলে তোপের মুখে পড়ার কথা মাথায় রেখে কিছু লাঠিয়াল বাহিনী ও প্রস্তুত রাখেন। বাদী পক্ষ ও এলাকাবাসী পুন:তদন্ত স্থলে উপস্থিত হতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েন। এসকল ঘটনা কথার উল্লেখ করে বাদী পক্ষ এলাকাবাসী পুন:তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী কমিনার (ভূমি), আশাশুনি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। সাথে সাথে নিরহ, শ্রমজীবী মানুষের কথা ভেবে সঠিক তদন্তের জন্য তার অফিসে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আবেদন করেন। এলাকাবাসীর পক্ষে ফারুক মোল্লা ও তাপস মণ্ডল সহ এ প্রতিবেদনকে আরও অনেকেই জানান, উক্ত ইউপি সদস্য নীলকণ্ঠ গাইন একজন ক্ষত্রিয় সনাতন ধর্ম মানুষ। কিন্তু তিনি কুট কৌশলে মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি করে জেলে সম্প্রদায় সেজে (ধাড়িয়া খালি) জলমহালটি ইজারা গ্রহণ করেন। ইজারা গ্রহণ করে তিনি উক্ত জল মহলের উপর ছাদ যুক্ত পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস করছেন যাহা সম্পূর্ণ সরকারি নিয়ম বিরোধী। উক্ত বিদ্যুৎ লাইনের টাকা আত্মসাৎ ও ঘর নির্মাণের বিষয়টিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহবান করেছেন এলাকার সচেতন মহল।