নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে খাস সম্পত্তিতে দোকান ঘরনির্মাণ নিয়ে বিরোধের জেরে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পেতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, আশাশুনির কাপসন্ডা গ্রামের ইউনুছ খাঁর স্ত্রী ফতেমা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার পুত্র মো: জহুরুল খাঁ পাশ^বর্তী চেউটিয়া নদীর ভেড়ীর ধারে পাশের্মারী গ্রামে খাস সম্পত্তিতে দোকান নির্মাণ করে দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। কিন্তু গত বছরের আস্ফানের আঘাতে দোকানঘরটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরে দোকানঘরটি সংস্কার করতে গেলে পাশের্মারী গ্রামের কার্ত্তিক চন্দ্র রায়ের পুত্র শেখর রায় বাধা প্রদান করে এবং বলে তাদের মন্দির সামনে নাকি ক্লাব নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মন্দির থেকে দোকানটি অনেক দূরে অবস্থিত।
কিন্তু একই এলাকার নির্মাণ চন্দ্র বাছাড়, কৃষ্ণচন্দ্র, স্বপন, দিলিপ, বসু ও সুজিতের ইন্ধনে শেখ রায় সেখানে আর দোকানঘর পরিচালনা করতে না দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করে। একপর্যায়ে আমার পুত্রকে শায়েস্তা করার জন্য গত ১৮ মে‘২০২১ তারিখে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির কল্প কাহিনী সাজিয়ে আশাশুনি থানায় একটি এজাহার জমা দেন। অথচ আমার পুত্র একজন নিরিহ অসহায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তার জীবিকার একমাত্র মাধ্যম হলো ওই মুদি দোকানটি কিন্তু স্বার্থন্বেষী শেখ রায় গংয়ের বাধার কারণে বর্তমানে দোকানঘরটি বন্ধ অবস্থায় রয়েছে।
তিনি আরো বলেন আমার পুত্র জহুরুল খাঁ দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে সেখানে ওই মুদি দোকান পরিচালনা করে আসছে। এ দীর্ঘ সময়ে তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযোগ না থাকলেও শেখ সরকারসহ তার সহযোগীরা সেখানে দোকান পরিচালনা করতে না দেওয়ার উদ্দেশ্যে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দেওয়ার জন্য এজাহারা জমা দিয়েছেন। যদিও তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।
একদিকে আমার পুত্র তার উপার্জনের মাধ্যমটি বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে হতাশার মধ্যে রয়েছেন অন্যদিকে ওই ষড়যন্ত্রকারীদের কারনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। উক্ত মিথ্যা মামলার দায় হতে অব্যহাতি পেতে এবং তার পুত্রের জীবিকার মাধ্যম টি ফিরে পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।