হোম অন্যান্যসারাদেশ আশাশুনিতে জনসেবা ক্লিনিকে অভিজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় প্রসূতির মৃত্যু ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

আশাশুনি প্রতিনিধি :

আশাশুনির বুধহাটা ইউনিয়নে দূণীতি অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল অর্থ বৃত্তির মালিক হয়ে ধরাকে সরাজ্ঞান করছে না বুধহাটা জনসেবা ক্লিনিকের মালিক কথিত ডাক্তার শাহীন। তার ক্লিনিকে কোন অভিজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় বার বার নবজাতক ও প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চলেছে। বিষয়টি বার বার পত্র পত্রিকায় প্রকাশ পেলেও কর্তৃপক্ষ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় এখন আঙ্গুল ফুড়ে কলাগাছে রূপান্তরিত হয়েছে।

তার ক্লিনিকে নেই কোন নিয়ম নীতির বালাই ও ক্লিনিক পরিচালার ক্ষেত্রে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা। এদিকে কথিত ডাক্তার শাহীনের সাথে যুক্ত হয়েছেন সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলীয় হাইব্রিড নেতারা। কথিত ডাক্তার শাহীন ও তার ক্লিনিকের ধারাবাহিক দূনীতি ও অনিয়মের প্রতিবেদনে বের হয়ে এসেছে ঘোড়ার আগের গাড়ী চালানোর চাঞ্চল্যকার তথ্য। তার ক্লিনিকে অস্ত্র পাচারের নামে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্যন করতে গিয়ে শুরু থেকে বেশ কিছু প্রসূতি ও নবজাতকের সঠিকভাবে দেখভাল না করার কারনে মৃত্যু হয়েছে।

সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার জন্য কথিত ডাক্তার শাহীন উঠে পড়ে লেগেছে। তথ্য অনু সন্ধানে জানাগেছে গত ২৬ এপ্রিল আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের মিত্র তেতুলিয়া গ্রামের শাহীন সরদারের স্ত্রী নার্গিস সুলতানার প্রসব বেদনা শুরু হলে কথিত ডাক্তারের সোর্সরা জানতে পেরে ভুলভাল বুঝায়ে ওই দিন সোমবার সন্ধ্যা ৬-৩০মিনিটে সিজার শুরু করে।

সিজারের পর পরই রক্ত ক্ষরন শুরু হয় অবস্থার বেগতিক দেখে দ্রুত জনসেবা ক্লিনিকের এ্যামবুলেন্স যোগে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে খুলনা পৌছানোর আগেই পথে প্রসুতির মৃত্যু হয়। ওই রাতেই এ্যামবুলেন্স যোগে তার স্বামীর বাড়ীতে নিয়ে আসে। এরপর তার স্বামীকে ম্যানেজ করে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের চেষ্টা করেন।

এমন ঘটনা স্থানীয়রা জানতে পারে। একপর্যায় বড় অংকের টাকা খেসারত দিয়ে ওই রাতেই এ্যামবুলেন্স নিয়ে ক্লিনিকে চলে আসে। উল্লেখ্য এ ছাড়া আনুঃ ২মাস পূর্বে বড়দল ইউনিয়নের বাইনতলা গ্রামের মেয়ে রূপাকে অনুরূপভাবে ওই ক্লিনিকে মৃত্যু হয়েছে। এমন অসংখ্যা প্রমানাদি পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ রয়েছে। এ ব্যাপারে ডাক্তার শাহীনের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনা শিকার করে বলেন আমি পরে কথা বলছি।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে এ ঘটনায় নবজাতক শিশুটি বেঁচে আছে বলে জানাগেছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে দাবী জানিয়েছেন কাদাকাটি ইউনিয়নবাসী।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন