হোম অন্যান্যসারাদেশ আশাশুনিতে কার্পেটিং রাস্তার উপর বাঁশের সাঁকো, ৬২ দিনেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সওজ, জনদুর্ভোগ চরমে

আশাশুনিতে কার্পেটিং রাস্তার উপর বাঁশের সাঁকো, ৬২ দিনেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সওজ, জনদুর্ভোগ চরমে

কর্তৃক
০ মন্তব্য 219 ভিউজ

এম এম সাহেব আলী,আশাশুনি :

সুপার সাইক্লোন আম্পানে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের আশাশুনির মাড়িয়ালা থেকে ঘোলা ত্রিমোহনী পর্যন্ত প্রায় ৩ কি.মি. সড়কের ৭টি স্থানে ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকায় আজও জোয়ার-ভাটা হয়ে চলেছে। এর মধ্যে ৩টি স্থানে একেবারে গভীর হয়ে যাওয়ায় সেখানে বাঁশের সাঁকো দিয়ে বানভাসী মানুষ যাতয়াত করছে। আম্পানের পর আজ ৫৮ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত সড়ক ও জনপদ বিভাগ নির্মাণাধীন জন-গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কারের কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে ক্ষুব্ধ বানভাসী এলাকাবাসী।

খুলনার কয়রা, শ্যামনগর ও কালীগঞ্জের এক অংশ এবং আশাশুনি উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের সাথে একমাত্র যোগাযোগর মাধ্যম হচ্ছে এই সড়ক। সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে দক্ষিণ অঞ্চলে দুর্গত মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, জরুরী ঔষধ পরিবহন ও সুপেয় পানি পৌছাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। শ্রীউলা ইউনিয়নের মাড়িয়ালা বাজার থেকে প্রতাপনগর ইউনিয়নের ঘোলা বাসষ্ট্যা- পর্যন্ত ৩ কি.মি. সড়কের উপর দিয়ে নদীর জোয়ার-ভাটা চলতে থাকায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

প্লাবিত এলাকার দূর্গত মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, জরুরী ঔষধ পরিবহন ও সুপেয় পানি পৌছাতে কি পরিমানে হিমসিম খেতে হচ্ছে সেটা না দেখলে বুঝতে পারবেন না। ছোট ছোট শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, নারী, প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কলিমাখালী গ্রামের ৬৫ পরিবার কলিমাখালী প্রাইমারি স্কুলে (২৩), নাসিমাবাদ সাইক্লোন সেল্টারে (২৭) ও মাদ্রাসায় (১৫) আশ্রয় নিয়ে করোনার মধ্যেও গাদাগাদি হয়ে বসবাস করছে। পানিবন্দী গ্রামগুলোর অধিকাংশ বাড়ীই তাদের ভিটার উঁচু স্থানে বাঁশের মাঁচা করে নিয়ে তার মধ্যেই মানবেতর জীবন যাপন করছে।

সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জোয়ারের সময় নৌকায় আর ভাটায় পায়ে হেঁটে চলা ছাড়া কোন উপায় নেই। এসব এলাকার মানুষ তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কিনতে মাড়িয়ালা ও নাকতাড়া কালীবাড়ি বাজার পর্যন্ত আসতেই তাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। সরকারি বেসরকারি ত্রান কম-বেশি পৌঁছালেও চাহিদার তুলনায় সেগুলো নেহাতই অপ্রতুল। স্থানীয় সাংবাদিক ডা. শাহজাহান হাবিব জানান, ভেঙ্গে যাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্ত এ দুর্গম সড়ক দিয়ে কত কষ্ট সহ্য করে কিভাবে মানুষ চলাচল করছে সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।

সুপেয় পানির জন্য মানুষের হাহাকার যেমন আছে অমূল্য এই পানি বহন করে বাড়ী নিয়ে যাওয়া নিত্য সংগ্রামের মত। এছাড়া বিদ্যুৎ বিহীন অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে। এছাড়া প্রায় দু’মাস কেউ মিষ্টি পানিতে গোসল পর্যন্ত করতে পারেনি। অনতিবিলম্বে ভেঙ্গে যাওয়া হাজরাখালি বাঁধটি নির্মান করে এলাকায় জোয়ার-ভাটা বন্ধ করতে না পারলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়তেই থাকবে। শ্রীউলা ইউনিয়নের ভেঙ্গে যাওয়া হাজরাখালি বাঁধটি নির্মান কওে এলাকায় জোয়ার-ভাটা বন্ধ করতে অবিলম্বে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বানভাসী মানুষ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন