হোম অন্যান্যসারাদেশ আশাশুনিতে আনুলিয়ায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেছানুরকে আটকে রেখে দুঘন্টা ব্যাপী অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ

আশাশুনি প্রতিনিধি :

আশাশুনির আনুলিয়ায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেছানুর মোড়লকে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর সমর্থকের বাড়িতে আটক রেখে দুই ঘন্টা যাবত নির্যাতন চালানোর অভিযোগ পাওয়াগেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সকালে উপজেলার আনুলিয়ার ইউনিয়নের নাকাগোদারঘাট গ্রামে।

থানায় দায়েরকৃত সাধারন ডায়েরী সুত্রে জানাগেছে ইউপি নির্বাচনে আনুলিয়া ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ডের বল প্রতিক নিয়ে মুক্তার হোসেন ভোট যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে ও তার প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী কামিরুল ইসলাম টিউবওয়েল প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এ নির্বাচনে ফুটবল প্রতিকের প্রার্থীর মুক্তার হোসেনের পক্ষে নাকাগোদারঘাট গ্রামের মৃত এমান আলী মোড়লের পুত্র নেছানুর মোড়ল (৫০) সমর্থন দেওয়ায় প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী ও তার সমর্থকসহ আত্মীয় স্বজনরা চরম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

এক পর্যায়ে নেছানুর মোড়লকে বলে তাদের টিউবওয়েল প্রার্থির বিপক্ষে বল প্রতিকের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা চালানো যাবে না বলে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। এতে কাজ না হওয়ায় প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী কামিরুল ইসলাম সহ তার সমর্থকরা গভীর ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করে আসছিল। এক পর্যায়ে বল প্রতিকের প্রার্থীর সমর্থক নেছানুর মোড়ল বাড়ি হইতে যখন ব্যাংক থেকে প্রয়োজনে টাকা উত্তোলনের জন্য খুলনার কয়রা উপজেলার জায়গিরমহল আসছিলো।

এমন সময় প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর সমর্থক একই গ্রামের আমীর আলী গাজীর পুত্র শফিকুল গাজী (৩৭), হাফিজুল গাজী (৩৩), মফিজুল (৩০) সহ বেশ কয়েক জন জোরপূর্বক তাকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর সমর্থক শফিকুল গাজীর বাড়িতে আটক রেখে বলে ভোট করার স্বাদ মিটাই দেব বলে এক পর্যায়ে তাকে বলে আমাদের যা নির্বাচনে খরচ হয়েছে তা তোকেই দিতে হবে প্রায় দুঘন্টা যাবত মারপিট করাসহ বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন চালিয়ে তার নিজ নামীয় ১৬৫৪০৬ নং চেক ও দুইটি অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় । অমানুষিক নির্যাতনের ফলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এতে সে মারা গেছে ভেবে তাকে লকুানোর চেষ্টা করে।

এমন সময় তার পরিবারের লোকজন সহ তার প্রার্থী মুক্তার হোসেনের সমর্থকরা খবর পেয়ে দ্রুত ঐ বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তাকে আশংঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে আহত নেছানুর মোড়ল বাদি হয়ে ০১/০১/২০২২ তারিখে ২০ নং একটি সাধারন ডায়রী করেন। তবে প্রতিপক্ষরা থানায় জি.ডি তুলে নিতে হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে। ফলে ভুক্তভোগীর পরিবারটি চরম আতঙ্কে রয়েছে। এ ঘটনার দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে নির্যাতনকারীদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানিয়ে পুলিশ বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তার পরিবার ও ইউনিয়নবাসী।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন