আশাশুনি প্রতিনিধি :
আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছেত আল হারুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ত্রাণ, প্রকল্পের চাল ও পরিষদের বিভিন্ন অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিষদের সকল (১২ জন) সদস্য প্রতিকার প্রার্থনা করে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের বরাবর লিখিত অভিযোগ সাংবাদিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে অভিযোগকারী মেম্বারবৃন্দ জানান, করোনা ভাইরাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণের জন্য যে ত্রাণ ও অর্থ প্রদান করা হয়েছে তা চেয়ারম্যান স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিজস্ব লোককে প্রদান ও রাতের অন্ধকারে গোডাউন থেকে ত্রাণ সরিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ ভরাটের নামে ৭ মেঃটন চাল আত্মসাৎ, ২য় পর্যায়ে মহাজনপুর বিলগামী রাস্তাা প্রকল্পের নামে ৭ মেঃটন চাল আত্মসাৎ, জন্মনিবন্ধন থেকে ৮০ হাজার টাকা, ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ৩৫ হাজার টাকা, অডিট খরচ বাবদ ইউপি সদস্যদের থেকে ২৪ হাজার টাকা, সুপেয় পানি সরবরাহের নামে ১৭টি ট্যাংকির অনুকূলে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকার মত এবং ত্রাণ আনা পরিবহন খরচের নামে ইউপি সদস্যদের থেকে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া করোনা ভাইরাসকে পুজি করে অসহায় মানুষের ত্রাণ দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন ইটভাটা,মৎস্যঘের মালিকসহ বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়িদের কাছ তেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ত্রাণ না দিয়ে ও বয়স্কভাতার কার্ড দেওয়ার নামে অর্থ আদায়, ৬টি টিউবওয়েল, এডিপির ৫০ প্যাকেট ত্রাণ আত্মসাৎ এবং ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ত্রাণের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্যবৃন্দ। বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তারা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান হারুন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমার কিছু নিজস্ব লোক আছে এবং অনিয়মের বিষয়ে কথা হলে তিনি সুকৌশলে এড়িয়ে যান।