স্পোর্টস ডেস্ক:
ঘরের মাঠে ৮০ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। প্রায় সাত মাস পর হারের শঙ্কা জেঁকে বসেছে আলবিসেলেস্তেদের। তার ওপর এনসো ফের্নান্দেস লাল কার্ড দেখায় আর্জেন্টিনা তখন ১০ জনের দল। দলের সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসিকেও তুলে নিয়েছেন লিওনেল স্কালোনি।
এমন পরিস্থিতিতে আর্জেন্টিনার ত্রাণকর্তা রূপে হাজির হন থিয়াগো আলমাদা। পালাসিওসের পাসে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ এক শটে কলম্বিয়ার জালে বল জড়ান ২৪ বছর বয়সী এ তারকা। আলমাদার এ গোলেই কোনোমতে হার এড়িয়ে ১-১ ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্কালোনির দল।
এ ড্রতে কনমেবল অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১৬ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরেই আছে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ছয়ে কলম্বিয়া।
প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে আর্জেন্টিনা এগিয়ে থাকলেও প্রতি-আক্রমণে কম যায়নি কলম্বিয়া। ম্যাচের ২৪ মিনিটে তেমনই এক ফিরতি আক্রমণে গোলের দেখা পায় নেস্তর লরেনসোর দল।
কেভিন কাস্তানোর পাস মধ্যমাঠের কিছুটা সামনে পেয়েছিলেন লু্ইস দিয়াস। বাঁ প্রান্তের সাইডলাইনের কাছাকাছি অঞ্চল থেকে দারুণ ক্ষিপ্রতায় এগোতে থাকেন লিভারপুল তারকা। একে একে আর্জেন্টিনার তিন ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বক্সে ঢুকে দারুণ শটে পরাস্ত করেন এমি মার্তিনেসকে। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে আর্জেন্টিনা।
৬ মিনিট পরে অবশ্য গোলটা শোধ দিয়েছিল স্কালোনির দল। কিন্তু এনসো ফের্নান্দেসের গোল বাতিল হয় অফসাইডে। এরপর মেসি-ফের্নান্দেসরা চেষ্টা চালালেও প্রথমার্ধে আর তেমন বড় সুযোগ তৈরি করতে পারেননি।
বিরতির পর ৬৩ মিনিটে একবার গোলের খুব কাছে চলে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। নিকো গনসালেসের শট প্রথম দফায় ঠেকালেও হাতে রাখতে পারেননি কলম্বিয়ান গোলকিপার কেভিন মিয়ের। ফিরতি বলে গনসালেসের পাসে দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন এনসো ফের্নান্দেস। কিন্তু ঠিকঠাক শটই নিতে পারেননি চেলসিতে খেলা আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার।
৬৮ মিনিটে মেসির ফ্রি কিক বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান মিয়ের। ফিরতি বলে দুরূহ কোণ থেকে শট নিয়েছিলেন নিকো গঞ্জালেস। কিন্তু আর্জেন্টাইন উইঙ্গারের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
২ মিনিট পর লাল কার্ড দেখেন এনসো ফের্নান্দেস। বল দখলের লড়াইয়ে কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার কেভিন কাস্তানোকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড পান চেলসিতে খেলা আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার।
১০ জনে পরিণত হওয়া আর্জেন্টিনা আরও বেশি চাপে পড়ে। তবে চাপ নিয়েই যেন বেশি আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে স্কালোনির দল। ৭৮ মিনিটে মেসিকে তুলে নেন স্কালোনি। বদলি হিসেবে মাঠে নামেন পালাসিওস। আর মাঠে নেমেই আর্জেন্টিনাকে গোল এনে দেন লেভারকুসেন মিডফিল্ডার।
না, পালাসিওস গোল পাননি। তবে থিয়াগো আলমাদার গোলে সরাসরি অবদান রেখেছেন। ৮১ মিনিটে পালাসিওসের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে দারুণ এক কোনাকুনি শটে আর্জেন্টিনাকে সমতায় ফেরান ২৪ বছর বয়সী আলমাদা। আর সে গোলেই নিশ্চিত হয়, স্বস্তির ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ছে আর্জেন্টিনা।