স্পোর্টস ডেস্ক:
ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানি আলভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাওয়ায় তাকে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত। পাশাপাশি ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরো ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রায় ঘোষণা করেন তিনজন বিচারকের প্যানেল।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ইউওএল জানিয়েছে, আলভেজের জরিমানার টাকাটা দিয়েছে নেইমারের পরিবার। যা আলভেজের সাজার মেয়াদ কমানোয় বড় ভূমিকা রেখেছে বলে দাবি করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
ইউওএল জানিয়েছে, নেইমার এই টাকা আগেই স্পেনের আদালতে পাঠিয়েছেন। যা গত ৯ আগস্ট। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীর যে নৈতিক এবং শারীরিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে, তা প্রশমনে আলভেসকে জরিমানা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং সেটি দিলে সাজার মেয়াদও কমবে বলা হয়েছিল। সবকিছু মিলিয়ে আলভেজের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল বলেই নেইমার তাকে সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। জাতীয় দলের পাশাপাশি একসময় বার্সেলোনায়ও খেলতেন এই দুইজন।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার একটি নাইটক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ব্রাজিল ও বার্সেলোনার সাবেক খেলোয়াড়ের আলভেজের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ বার্সেলোনার তিনজন বিচারক নিয়ে গঠিত বিচারকের প্যানেলে প্রমাণিত হওয়ায় এই শাস্তি পেলেন তিনি।
শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসা আলভেজ বেশ কয়েকবার জামিনের আবেদন জানালেও তাকে জামিন দিতে অস্বীকার করেন আদালত। কারণ, বিদেশের কোনো আদালতে অভিযুক্ত হলেও ব্রাজিল কখনও তার নাগরিককে সেই দেশের হাতে হস্তান্তর করে না।
এদিকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া এই ব্রাজিলিয়ান জেলেই আত্মহত্যা করতে পারেন বলেও সন্দেহ অনেকের। সে কারণে অ্যান্টি সুইসাইড প্রটোকল চালু করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম টিভি চ্যানেল ‘টেলেসিনকো’র অনুষ্ঠান ‘ফিয়েস্তা’কে একথা জানিয়েছেন কারাগারে আলভেজের সঙ্গে একই কক্ষে থাকা আরেক কয়েদি।