আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আগামী ১৮ জানুয়ারি দুপুরে সাজা ঘোষণা করবে শিয়ালদহ আদালত বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার।
২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর থেকে আরজি কর হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। টানা দুই মাস ধরে চলে প্রক্রিয়া। সিবিআই এর দেওয়া চার্জশিটে আটক সিভিক ভলান্টিয়ারকেই একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
আদালতে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তবে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্তেকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে আদালতে দাবি করেন তার আইনজীবী। সিবিআইয়ের দেওয়া তথ্যপ্রমাণও পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি করেন অভিযুক্তের আইনজীবী।
২০২৪ সালের ৯ আগস্ট কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা দেশটিকে নাড়িয়ে দেয়। ভুক্তভোগী ছিলেন একজন পোস্টগ্রাজুয়েট শিক্ষানবিশ ডাক্তার, যিনি ওই রাতে ডিউটিতে ছিলেন। ভোরের দিকে, হাসপাতালের সেমিনার রুমে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা যায় যে, ভুক্তভোগীকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় এবং তার শরীরে যৌন নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন পাওয়া যায়। তার গলায় অস্থি ভেঙে যাওয়া, মুখে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন, এবং যৌনাঙ্গে গুরুতর আঘাতের লক্ষণ ছিল। এই ঘটনা ভারত জুড়ে তীব্র প্রতিবাদের জন্ম দেয়।
১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয় আরজি করের ঘটনার বিচারপ্রক্রিয়া। টানা ৬০ দিন চলল শুনানি। আদালতে ধৃতের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছে সিবিআই। অবশেষে আরজি করের সেই ন্যক্কারজনক ঘটনার পাঁচ মাস পর সাজা ঘোষণা করতে চলেছে আদালত।