হোম জাতীয় আরপিও সংশোধন, ‘না’ ভোট ফিরছে

আরপিও সংশোধন, ‘না’ ভোট ফিরছে

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 61 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংশোধনের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। সেখানে ইভিএম সংক্রান্ত বিধান বিলুপ্ত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞাতে আর্মি, নেভি এবং এয়ারফোর্স অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় পলাতক ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না—এই বিধান যুক্ত করা হয়েছে। জেলায় যে নির্বাচন অফিস আছে সেগুলো জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা ঠিক করবেন। যারা নির্বাচন করবেন তাদের দেশি এবং বিদেশি উৎস থেকে যত আয় আছে, সম্পত্তি আছে সমস্ত কিছুর বিবরণ দিতে হবে। এই সব কিছু আজকে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ নির্বাচন কমিশনে দিতে হবে এবং আমরা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে দিবো।

আসিফ নজরুল বলেন, জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। ‘না’ ভোটের একটা বিধান করা হয়েছে। যেই নির্বাচনে একজন প্রার্থী থাকবে, ২০১৪ সালের ভুয়া ইলেকশনে বিনা ভোটে ১৫৪ জন নির্বাচিত হয়েছিলেন, এই ধরনের নির্বাচন যেন না হয়। একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে যারা ভোটার আছে তারা ‘না’ ভোট দিতে পারবেন। তখন সেখানে আবার নির্বাচন হবে।

তিনি আরও জানান, নির্বাচনে রাজনৈতিক জোট হিসেবে অংশ নিলে তাদের দলীয় প্রতীকে অংশ নিতে হবে। তাহলে ভোটাররা পরিষ্কার ধারণা পাবেন যে দলে। নির্বাচনি কাজে ব্যস্ত থাকা কর্মকর্তা কর্মচারীরা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না। আমরা এবার বিধান করেছি যে পোস্টাল ব্যালটে উনারা ভোট দেবেন।

আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, গণমাধ্যমের কর্মীরা ভোট গণনার স্থানে থাকতে পারবেন। আর যারা রাজনৈতিক দলকে দান, অনুদান, চাঁদা যাই হোক না কেন ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে তা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দিতে হবে। যিনি দেবেন তার ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে হবে। আর নির্বাচন কমিশনের আগে বিধান ছিল কোনও নির্বাচনি এলাকায় কোনও ভোট কেন্দ্রে গন্ডগোল হলে সেটার ফলাফল বাতিল করার বিধান ছিল। এখন নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে নির্বাচনি পুরো এলাকায় এতো বেশি অনিয়ম হয়েছে যে পুরো নির্বাচনি এলাকার ভোট বাতিল করা উচিত। তাহলে নির্বাচন কমিশন তা করতে পারবে, সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন