খেলাধুলা ডেস্ক :
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রতারণার অভিয়োগে করা মামলায় রেডিও জকি (আরজে) হুমায়ুন কবির নিরবের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে তার পরিবার। শনিবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্য চত্বরে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে নিরবের পরিবার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরজে নিরবের শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে নিরবের স্ত্রী লাবন্য লিজা বলেন, ‘আমি তার সহধর্মিণী হিসেবে বলতে পারি, নিরব অন্যান্য কর্মচারীর মতোই কিউকম ডটকমে হেড অব সেলস এবং কমিউনিকেশন অফিসার হিসেবে চাকরি করতেন। মালিকপক্ষের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমরা যারা মিডিয়া কর্মী তাদের কাজই হলো কোম্পানির হয়ে প্রচারণার কাজ করা। এটা না কললে তো আমরা না খেয়ে মরে যাব। আরও যারা এমন কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে তো এমন হয়নি।
লাবন্য লিজা আরও বলেন, ‘নিরব একজন মিডিয়া কর্মী, কিন্তু বর্তমানে আমাদের পাশে কেউ নেই। আমরা অসহায় জীবন যাপন করছি।
নিরবের মা রোকেয়া পারভিন জানান, নিরবের মাসুম বাচ্চা নিয়ে বেশ দুঃসহ জীবনযাত্রা নির্বাহ করছেন তারা। তার ছেলে কোনো মানুষের ক্ষতি করেনি। দ্রুত মুক্তির দাবি জানান তিনি। নিরবের নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছেন তার মা ও বন্ধু-স্বজনরা।
গত ৮ অক্টোবর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় করা প্রতারণা মামলার প্রেক্ষিতে আদাবর থানার নবোদয় হাউজিং থেকে নিরবকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ থেকে জানানো হয়, ৭ অক্টোবর রাতে এক ভোক্তভোগী তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় আরজে নিরবের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার ভোররাতে আদাবর থানা এলাকার নবোদয় হাউজিংয়ের একটি বাসা থেকে আরজে নিরবকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ মনে করছে, কিউকমের প্রতারণার মাস্টারমাইন্ড হুমায়ূন কবির নিরব ওরফে আরজে নিরব। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল মাধ্যমে কিউকম সম্পর্কে প্রচারণা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করতেন। আর তার কথায় বিশ্বাস করে সাধারণ মানুষ লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে পথে বসেছেন।
প্রসঙ্গত, কিউকম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পণ্য অনলাইনে কেনাবেচা করে আসছিল। তাদের নিজস্ব ব্রান্ডিং করার জন্য তারা ব্যাপকভাবে মোটরসাইকেল বিক্রি করে। বিভিন্ন অফারের মাধ্যমে কিউকম লোভনীয় দামে মোটরসাইকেল বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছিল। বাজারে যে মোটরসাইকেলের দাম এক লাখ ৬৭ হাজার টাকা, সেটি তারা এক লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দিত। বিপুল সংখ্যক ক্রেতা অর্ডার করে মোটরসাইকেল না পেয়ে হতাশায় ভোগে। সে সময় প্রতিষ্ঠানটি মোটরসাইকেল ডেলিভারি না দিয়ে এক লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা চেক দিয়ে দিত গ্রাহকদের।