রাজনীতি ডেস্ক:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পর আরও চারটি বিভাগে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আরও চারটি বিভাগের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে। নতুন অনেকে এসেছেন, কিছু বাদও পড়েছেন। তবে উইন্যাবল (বিজয়ী হতে সমর্থ) প্রার্থী আমরা বাদ দেইনি। যারা উইন্যাবল-ইলেক্ট্যাবল না, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন; তারা বাদ পড়েছেন। নারী-পুরুষ সব প্রার্থীর ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, রোববারের মধ্যে মনোনীত প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ। একসঙ্গে ৩০০ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘আমরা যখন বিভাগের নাম ঘোষণা করি তখন ভিড় বেড়ে যায়, নির্দিষ্ট বিভাগ শুনলে পীড়াপীড়ি শুরু হয়ে যায়। কীভাবে মনোনীতদের নাম বের করা যায়। সে কারণে বিভাগের নাম ঘোষণা করছি না।’
চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকে ঘোষণায় দেরী হচ্ছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা মনোনয়নের ব্যাপারটা সুনির্দিষ্ট করে এখনও বলছি না। কারণ, এর মধ্যে আমরা যেসব প্রার্থী দিয়েছি, সেসব মনোনয়নে ভুলত্রুটিও থাকতে পারে। সেটাও সংশোধনের একটা সুযোগ রেখেছি। এ কারণে আমরা ঠিক করেছি—ভিন্নভাবে, অর্থাৎ জেলাওয়ারী বা বিভাগওয়ারী প্রার্থিতা ঘোষণা করবো না। একসঙ্গে ৩০০ আসনের প্রার্থিতা ঘোষণা করতে চাই।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসবে না সে কথাটা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। বিএনপির এখনো আসার সুযোগ আছে। হয়তো বিএনপি দলীয়ভাবে, জোটগতভাবে নাও আসতে পারে। বিএনপির ভেতর থেকে অনেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমাদের কাছে খবর আছে- অনেকেই তারা প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবে। শেষ মুহূর্তে কোন পর্যায়ে যায়, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।’
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এখন থেকে রাজনীতি করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, এমনটি দলকে বলা হয়েছে। বাংলাদেশের যেকোনো আসন থেকে তিনি মনোনয়ন পেতে পারেন।
জনগণ নির্বাচনমুখী হয়েছে এটি সরকারের সাফল্য মন্তব্য করে করে কাদের বলেন, তবে রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন অর্থনীতিকে ধ্বংস করার পথ বেঁচে নিয়েছে। কিন্তু হামলা করে নির্বাচন ভণ্ডুল করা যাবে না।