আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
রাশিয়া আগামীতে ইউক্রেনে হামলার মাত্রা আরও বাড়াবে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে সংস্থাটিতে ইউক্রেনের যোগদানের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। আর এ কারণেই ক্ষিপ্ত হয়ে রুশ বাহিনী হামলা জোরদার করতে পারে বলে মনে করছেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেনকে সদস্য প্রার্থীর স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে চলতি সপ্তাহেই সিদ্ধান্তে আনতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ ছাড়া ইইউ কমিশন এরইমধ্যে ইউক্রেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ প্রার্থী দেশ হিসেবে স্বীকৃতির সুপারিশ করেছে। এর মধ্য দিয়ে জোটটিতে যোগদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা সম্পূর্ণ হতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। খবর বিবিসির।
তবে এ সিদ্ধান্তের ফলে রাশিয়া ইউক্রেনে তাদের আক্রমণ আরও বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন জেলেনস্কি। রোববার (১৯ জুন) এক ভাষণে তিনি বলেন, আমি এবং আমার উপদেষ্টারা আশঙ্কা করছি, মস্কো তাদের ‘বৃহত্তর শত্রুতামূলক কার্যকলাপ’ আরও বাড়াতে পারে। কিন্তু ইউক্রেনীয় বাহিনী যেকোনো নতুন আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে বলে মন্তব্য করেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ। তিনি বলেন, ইউক্রেনীয় সেনাদের অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করা হলে তা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ থেকে দনবাস অঞ্চলকে মুক্ত করার সুযোগ বাড়িয়ে দেবে।
শনিবার (১৮ জুন) এক জার্মান সাপ্তাহিককে তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে যে এ যুদ্ধ কয়েক বছর স্থায়ী হতে পারে। আমাদের ইউক্রেনকে সমর্থন বন্ধ করা উচিত নয়। এমনকি এ সহায়তা করতে যদি খরচ বেশিও হয় তবুও না। কারণ শুধু সামরিক সহায়তার জন্য নয়, জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বাড়ার কারণেও খরচ বাড়ছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে প্রতিবেশী রাশিয়া। এরপর থেকে ইউক্রেনকে অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের দেশগুলো।
ইউক্রেনে এখন রুশ বাহিনীর মনোযোগ দেশটির পূর্বাঞ্চল দোনবাসে। অঞ্চলটির প্রধান শহর সেভেরোদোনেৎস্কে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। দোনবাসে যুদ্ধের গতিপথ বদলাতে ইউক্রেনীয় সেনাদের সহায়তায় অস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।