জাতীয় ডেস্ক :
এবারের কোপ-২৬ এ স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে মূল লক্ষ্য ছিল জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলা করে পরিবেশ পুনরুদ্ধার করা। এর লক্ষ্যে সম্প্রতি জেফ বেজোস পরিবেশ পুনরুদ্ধারের জন্য তার ই-কর্মাসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আমাজনের ২০০ কোটি ডলার সহয়তার ঘোষণা দিয়েছেন।
বর্তমানে জেফ বেজোস বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীর তালিকায় আছেন। বিলিয়নিয়ারদের বিশ্বের ক্ষুধা নিবারণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এরই সূত্র ধরে এলন মাস্কের পরেই জেফ বেজোস তার সহায়তার কথা ব্যক্ত করেন।
মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী, বেজোসের সম্পদের পরিমাণ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) পর্যন্ত ১৯ হাজার ৯৪০ কোটি ডলার ছিল। বর্তমানে শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের চেয়ে তার প্রায় ১১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার কম সম্পদ রয়েছে।
চলতি বছর আমাজনের প্রায় ৮৮০ কোটি ডলারের শেয়ার বিক্রি করেছেন বেজোস। ১৯৯৮ সালে শেয়ার মার্কেটে যাওয়ার পর থেকে বেজোস ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের শেয়ার বিক্রি করেছেন। ১৯৯৭ সালে কোম্পানিতে আমাজনের অংশ ছিল ৪২ শতাংশ, এখন তা কমে ১০ শতাংশের নিচে হয়েছে।
এর আগে গত মাসে এক টুইট বার্তায় এলন মাস্ক তার টেসলার শেয়ার থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার সহযোগিতার কথা জানান। যদিও মাস্ক তার পূর্বে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন। টুইট বার্তায় মাস্ক বলেন, ‘যদি ডব্লিউএফপি প্রমাণ করতে পারে আমার দেওয়া ৬ বিলিয়ন ডলার বিশ্বের খাদ্যমন্দা ঘোচাতে পারবে তাহলে আমি আমার অর্থ দান করে দিতে প্রস্তুত আছি।’
এছাড়াও টেসলা এবং স্পেসএক্সের সিইও মাস্কের আরেকটি শর্ত ছিল ডব্লিউএফপি তার দান করা অর্থ কোথায় কোথায় খরচ করবে তার একটি নথি তাদের প্রকাশ করতে হবে। আরেকটি টুইট বার্তায় মাস্ক বলেন, ‘এটা অবশ্যই ডব্লিউএফপিকে খোলামেলাভাবে দেখাতে হবে যে, তারা কোথায় তাদের অর্থ খরচ করছে। তাদের খরচকৃত অর্থের খাতগুলো যাতে করে মানুষ দেখতে পায়।’
