বিনোদন ডেস্ক:
ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান সবসময় আলোচনায় থাকেন। তার আলোচনা- সমালোচনা শোবিজে নতুন নয়। পারিশ্রমিক নিয়ে নতুন করে তিনি আলোচনায় এসেছেন। তবে প্রযোজক নাসরিন হেলালী তার ফেসবুকে শাকিব খানকে নিয়ে ভীন্নধর্মী বার্তা দিয়েছেন।
প্রযোজক নাসরিন হেলালী বললেন, আমি চলচ্চিত্র প্রযোজক হয়ে অনেকদিনের স্বপ্ন ছিল ঢালিউড অঙ্গনের সুপারস্টার অভিনেতা শাকিব খানকে নিয়ে একটি সুস্থ ধারার বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণ করব। তাই আমি আমাদের চলচ্চিত্র অঙ্গনের স্বনামধন্য পরিচালক বদিউল আলম খোকন ভাইকে আমন্ত্রণ জানাই তাকে নিয়ে কাজ করার চিন্তা ধারা করি। অভিনেতা শাকিব খানের সিডিউল নেওয়া এবং মোটামুটি বলতে গেলে প্রি প্রোডাকশন শেষ।
আমরা কাজ শুরু করব এমন সময় অভিনেতা শাকিব খান আমেরিকা থেকে দেশে ফিরলেন। কোরবানি ঈদের পর পর সুপারস্টার শাকিব খানের প্রিয়তমা ছবিটি আমরা সবাই জানি সুপার হিট। বহুদিন পর চলচ্চিত্র অঙ্গনে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বিশ্বমানের এই চলচ্চিত্রটি। হল গুলোতে ছিল দর্শকের উপচে পড়া ভিড়। প্রিয়তমা ছবির পরে ছিল এই সুপারস্টারের আমার প্রতিষ্ঠানের ছবিটি। আমার কাছে মনে হয়েছে কোন ব্যাকডেটেড ছবির গল্প কাহিনী নয় , কোন ব্যাকডেটেড টেকনোলজি নয়, ব্যাকডেটেড চিন্তা চেতনা নয় সৃজনশীল যুগোপযোগী বিশ্বে সমাদৃত সুস্থ ধারার আধুনিক টেকনোলজি আধুনিক চিন্তা চেতনা আমাদেরকে দেশে ও বিদেশে বাংলা চলচ্চিত্রের অঙ্গনে দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে আমি বলব নীল দরিয়া নামে আমার চলচ্চিত্রটি নামকরণ দেওয়া হয়েছিল যেটা আমার মোটেই পছন্দ হয়নি একটু পুরানো। টেকনোলজি একটু পুরানো সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে নীল দরিয়া চলচ্চিত্রটি না করাই ভালো সুপারস্টার শাকিব খান একজন মেধাবী সৃষ্টিশীল রোমান্টিক একশন সুপারস্টার আমাদের দেশের সন্তান তাকে নিয়ে আমরা ব্যবসা সফল ছবি বানাবো।
দর্শক যেরকম চায় ঠিক সেরকমই আধুনিকতার ছোঁয়া থাকবে পুরো চলচ্চিত্রটিতে। আমি বুঝতে পারছি না বদিউল আলম খোকন ভাই কেন এত সব কথা লিখতে গেলেন প্রথম আলোতে। যা লিখেছেন তার একান্তই তাঁর মন গড়া কথা। সুপারস্টার শাকিব খানকে শিল্পী সম্মানি যে টাকাটা দিয়েছিলাম সে পুরোটাই ফেরত দিয়েছেন বরং আমরা তার সিডিউল নষ্ট করেছিলাম।
এত বড় সুপারস্টারের সিডিউল পাওয়া খুব মুশকিল আমরা ব্যর্থ হয়েছি কাজটি করতে এমত অবস্থায় বদিউল আলম খোকন ভাইয়ের এরকম একটি লেখা দেখে আমি দুঃখিত। সুপারস্টার শাকিব খান সময়ের সাথে সাথে ।তার শিল্পী সম্মানীর টাকা বাড়াতেই পারেন। এই ডিজিটাল সময়ে তার ক্রিয়েভিটি মেধা দিয়ে আমাদেরকে সময় দেবেন সৃষ্টিশীল কাজ উপহার দিবেন আমরা তার পারিশ্রমিক নিয়ে বার্গেনিং করব কেন? আর নিজেদের দুর্বলতার দায় সমাজের স্বনামধন্য কোন মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। এই বাজে চিন্তাধারা থেকে আমাদের সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে।