ইবি সংবাদদাতা:
আমরণ অনশনে বসেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি- রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন থেকে অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদ ও তাদের বরাদ্দকৃত কক্ষ ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে। সোমবার (০৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রশাসন ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অনশন শুরু করেন।
এসময় লিখিতভাবে তাদের বরাদ্দ জায়গা বুঝিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরক। এর আগে বেলা ১১টা থেকে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ চারুকলা বিভাগকে রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের চতুর্থ তলায় ২৩টি ও পঞ্চম তলায় ১টি কক্ষসহ ২৪টি কক্ষ বরাদ্দ দেয়। একই সঙ্গে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগকে পঞ্চম তলায় ১৫টি ও ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগকে একই তলার ১৭টি কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
গত আগস্ট মাসে অনুষদীয় সভায় বিভাগগুলো নামে এসব কক্ষ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ফোকলোর স্টাডিজ ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ তাদের জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষে না গিয়ে পূর্বে চারুকলা বিভাগের নামে বরাদ্দকৃত কক্ষসমূহ দখল করে। পরে বিজ্ঞপ্তি আকারে নির্দেশনা দেওয়ার পরও দখলকৃত কক্ষগুলো ছাড়তে নারাজ বিভাগ দুইটি।
চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ পেয়েও ব্যবহার করতে পারছি না। কক্ষগুলো ফোকলোর ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ দখল করে আছে। এদিকে আমাদের ক্লাস পরীক্ষা পরিচালনা করার কোনো জায়গা নেই। আমরা আমাদের নতুন চেয়ারম্যানকে বসতে দেওয়ারও জায়গা পাইনি। আমরা প্রসাশনের দারস্ত হয়েও কোনো সমাধান পাইনি। আমাদেরকে বিভিন্নভাবে আশ্বস্ত করা হয়েছে, কিন্তু কোনো ফল পাইনি। তাই আমরা বাধ্য ও নিরুপায় হয়ে আমরণ অনশনে বসেছি। আমাদের দাবির বিষয়ে প্রশাসন লিখিত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাবো।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, উপাচার্য ক্যাম্পাসের বাইরে আছেন। তিনি ক্যাম্পাসে ফিরলে আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিষয়টি নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমি দুপুরেই আন্দোলনকারীদের বিষয়টি জানিয়েছে। আমরা একটা সমাধানের দিকেই যাচ্ছি।