আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নির্যাতন থেকে বাঁচাতে আফগান নারীদের কারাগারে ঢুকাচ্ছে তালেবান সরকার। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যদি কোনো নারীর কোনো পুরুষ আত্মীয় না থাকে কিংবা পুরুষ আত্মীয়দের জীবনের ঝুঁকি থাকে, তাহলে এ ধরণের নারীদের কারাগারে পাঠাচ্ছে তালেবান।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে,যেভাবে কাবুলের গৃহহীন এবং মাদকাসক্ত মানুষদের কারাগারে পাঠানো হয় ঠিক সেভাবেই নিরাপত্তার জন্য জেলে পুরা হচ্ছে আফগান নারীদের।
২০২১ সালে তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে আফগানিস্তানে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় ২৩টি নারী সুরক্ষাকেন্দ্র ছিল। লিঙ্গ-ভিত্তিক নির্যাতন থেকে বাঁচতে অসংখ্য নারী এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিতেন। তবে এখন সেসব সুরক্ষাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে।
আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘের সহায়তা মিশনকে তালেবান প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নারীদের সুরক্ষার জন্য আলাদা কোনো কেন্দ্র রাখার প্রয়োজন নেই। এ ধরনের কেন্দ্রকে ‘পশ্চিমা ধারণা’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করে দিয়েছে তারা।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, দেশটির নারীদের পুরুষ আত্মীয়দের ডেকে শপথ ও প্রতিশ্রুতিমূলক বিবৃতিও নিচ্ছে তালেবান কর্তৃপক্ষ। এসব বিবৃতিতে স্থানীয় নেতাদের সাক্ষী করা হচ্ছে।
২০২১ সালে তালেবান সরকার আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর দেশটির মেয়েদের পড়াশোনা ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে। এমনকি কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থার অধীনে চলমান গৃহ-ভিত্তিক স্কুল প্রোগ্রামগুলোও বন্ধ করে দিচ্ছে তালেবান কর্তৃপক্ষ। দেশটির ২৫ লাখ নারী ও কিশোরী বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ছিটকে পড়েছে। গত জুলাই মাসে একটি ডিক্রি জারির মাধ্যমে দেশটির সব বিউটিপার্লার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।