অনলাইন ডেস্ক:
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন, সেই শহীদদের পরিবারের কাছে পুলিশের পক্ষে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন সংস্থাটির প্রধান আইজিপি বাহারুল আলম।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যারা আহত হয়েছেন, তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। এই আন্দোলনের সময় ফ্যাসিবাদী সরকারের সহায়তায় পুলিশের কতিপয় কর্মকর্তা আইন ভঙ্গ করেছেন ও বাড়াবাড়ি করেছেন।
আন্দোলনের সময় নিরপরাধ পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রতিটি শহীদ পরিবারের কাছে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
যেসব পুলিশ সদস্য আন্দোলনে মারা গেছেন, তাদের পরিবারকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান আইজিপি।
হত্যার ঘটনায় আইনের আশ্রয় পুলিশ নেবে কিনা, না নিলে পুলিশের মনোবলে ঘাটতি তৈরি হতে পারে কি না— জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, আইন তো সবার জন্যই সমান। হত্যাকাণ্ড বা যে কোনও অপরাধ। আইনের আওতায় আদালতের বিচারের আওতায় আসা উচিত। আমরা সেভাবেই করবো। সেভাবেই হয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর পুলিশের সম্পদ ও জীবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকারের সহায়তায় আমরা পুলিশের অপারেশনাল কার্যক্রমে গতিশীলতা নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। দেশের জনগণের সমর্থন ও সহায়তা ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ দুরূহ। আমি সবিনয়ে সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’
পুলিশ প্রধান বলেন, ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে দায়িত্ব পালন করা পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যদের শনাক্তে কাজ চলছে। এটা পুলিশ বাহিনীর জন্যই করতে হবে। সমাজকে একটি সুষ্ঠু পরিবেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। পুলিশ সদস্যদের সঠিক কার্যক্রমের মাধ্যমেই জনগণের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে। জুলাই-আগস্টে পুলিশের কিছু সদস্য বাড়াবাড়ি করেছেন, আইন ভঙ্গ করেছেন— এতে কোনও সন্দেহ নেই। ৫ আগস্টের পর পুলিশ অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।