জাতীয় ডেস্ক:
সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার বলেছেন, আন্তরিকতা নিয়ে সব পক্ষ এগিয়ে এলে পার্বত্য সমস্যা কোনো সমস্যা নয়। এটি দ্রুত সমাধান করা সম্ভব।
‘আত্মনিয়ন্ত্রাণাধিকার প্রতিষ্ঠার অন্দোলনে ‘আদিবাসী’ তরুণরাই মূল শক্তি’ এ স্লোগানে রাঙামাটিতে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
বুধবার (০৯ আগস্ট) সকালে শহরের পৌর চত্বরে আলেচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে উদযাপন কমিটি। আলোচনা সভা শেষে একটি র্যলি বের করা হয়। র্যলিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
আলোচনা সভায় ঊষাতন তালুকদার বলেন, ‘কেউ কেউ বলে আমাদের ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতি দিলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হবে। পৃথিবীর ৭০টি দেশে ‘আদিবাসী’ রয়েছে। তাদের দেশে কি স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে? যে অজুহাতে বলা হচ্ছে, সেটি মিথ্যা অজুহাত ছাড়া আর কিছুই না।’
তিনি বলেন, ‘আমরাও অস্ত্র জমা দিয়েছি। আপনারা আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে এলে পার্বত্য সমস্যা কোনো সমস্যা নয়। এটি দ্রুত সমাধান করা সম্ভব। পার্বত্য সমস্যাকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ঘরে বসে থাকতে অধিকার কেউ দিয়ে যাবে না। অধিকার আদায়ের জন্য মাঠে নামতে হবে। সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
‘বাংলাদেশ আদিবাসী’ ফোরাম পার্বত্য অঞ্চলের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট চঞ্চু চাকমা, এম এন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি রাঙামাটি জেলা সংসদের সভাপতি সমীর কান্তি দে প্রমুখ।
সভায় বক্তরা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৩ টি নৃ-গোষ্ঠীর বাস। প্রকৃতির সঙ্গে মিশে থাকা পাহাড়ের এসব মানুষ নিজদের পরিচয় নিয়ে এ দেশে বেঁচে থাকতে চান। সরকার বা অন্য কারো চাপিয়ে দেয়া নামে নয়, নিজেদের সঠিক পরিচয়ের স্বীকৃতি চাই। কেউ কারো পরিচয় নির্ধারণ করে দিতে পারে না। আমরা ‘আদিবাসী’ পরিচয়েই বেঁচে থাকতে চাই।’
বক্তরা আরও বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব পরিচয়, ঐতিহ্য ও ভাষা রয়েছে। তাই ‘আদিবাসী’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার অধিকারও রয়েছে। স্বাধীনতার এত বছর পরও নিজেদের ক্ষুদ্র নৃ-গাষ্ঠী বা উপজাতি হিসেবে পরিচয় দিতে চাই না। তাই পবিত্র সংবিধানে আমাদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানাচ্ছি।’