নিউজ ডেস্ক:
সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতার দেখানো মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সেই সঙ্গে সংগঠনটি এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আসকের কেন্দ্রের সিনিয়র সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলে, একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এ ধরনের কঠোর আইন প্রয়োগ এর উদ্দেশ্য ও পরিধির সুস্পষ্ট অপপ্রয়োগ।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি আনিস আলমগীর সরকার এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন নীতি ও কর্মকাণ্ডের সমালোচনায় সরব ছিলেন। টেলিভিশন টকশোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি ভিন্নমত প্রকাশ করে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন। এমন প্রেক্ষাপটে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।
আসক মনে করে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনের জন্য প্রণীত একটি কঠোর আইনকে সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মৌলিক নীতির পরিপন্থি। সরকার বা রাষ্ট্রীয় নীতির সমালোচনা কোনো অপরাধ নয়; বরং স্বাধীন ও সমালোচনামূলক সাংবাদিকতা জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ধরনের গ্রেফতার গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি এবং ভিন্নমত দমনের বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। বাংলাদেশের সংবিধানে স্বীকৃত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মতো কঠোর আইন ব্যবহার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আসক অবিলম্বে আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ভবিষ্যতে ভিন্নমত ও সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে এ ধরনের আইনের অপব্যবহার বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
