স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্বকাপ ব্যর্থতা খতিয়ে দেখতে তিন পরিচালককে দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। আহ্বায়ক এনায়েত হোসেন সিরাজের সঙ্গে কমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন মাহাবুবুল আনাম ও আকরাম খান। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে আদৌ কি তদন্ত শেষ করতে পারবেন তারা। আর পারলেও কি প্রকাশ পাবে তাদের রিপোর্ট। আর সেই রিপোর্ট থেকে কি আসবে যুগান্তকারী কিছু সিদ্ধান্ত।
প্রশ্ন গুলো আসার কারণও আছে। এর আগে ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে একইভাবে গঠন করা হয়েছিল তদন্ত কমিটি। সেই কমিটিরও প্রধান ছিলেন এনায়েত হোসেন সিরাজ। এবারও এমন কিছুর আশঙ্কা রয়েছে। যদিও তদন্ত কমিটির সদস্য আকরাম খানের দাবি অতীতের মতো ব্যর্থ হবে না তাদের তদন্ত। বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতা খুব কাছ থেকে দেখেছেন বিশ্বকাপের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তার কাছে ভরাডুবির কারণ জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেছিলেন ক্রিকেটাররা ভালো খেলতে পারেনি।
কয়েক দিন আগে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ আর প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বিশ্বকাপ ব্যর্থতার রিপোর্ট বোর্ড সভাপতির কাছে সরাসরি মেইল করেছেন।
কার্যনির্বাহী পরিষদের পরের সভায় এই দুজনের রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হবে। সে আলোচনায় নতুন মাত্র যোগ করবে সদ্য গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট। নতুন এই তদন্ত কমিটি কোন দিকে ফোকাস করবে। আর কাদের সঙ্গেই বা কথা বলবে।
হাথুরুসিংহে ব্যস্ত থাকবেন নিউজিল্যান্ড সিরিজ নিয়ে। চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ করে বিদায় নিয়েছেন পেস বোলিং কোচ ও স্পিন বোলিং কোচ। তারা নিশ্চয়ই নিজেদের ব্যর্থ হিসেবে প্রমাণ করতে চাইবেন না। আর ক্রিকেটাররা ব্যস্ত থাকবেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে সিরিজ নিয়ে। আর রাজনীতির মাঠে নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন সাকিব আল হাসান। তবে কি গণমাধম্যে প্রকাশিক প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করে দায় সারবে তদন্ত কমিটি। তবে তা মানতে চাইছেন না জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক আকরাম খান। গভীরে প্রবেশ করে ব্যর্থতার আসল কারণ খুঁজে বের করতে চায় তাদের তদন্ত কমিটি।
আসলে যে কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করার পর তার প্রথম প্রতিক্রিয়া এমনই থাকে। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাতানো খেলার মতো লোক দেখানো তদন্তের কথাও মানুষ ভুলে যায়। কাজেই বারবার একটি প্রশ্ন সামনে আসে, আদৌ কি আলোর মুখে দেখবে তদন্ত রিপোর্ট।