আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একাধিক দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিতে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) তেল আবিবের জেলা আদালতে হাজির হন। টাইমস অব ইসরায়েল এবং রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের ইতিহাসে প্রথমবার কোনও ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগের মুখোমুখি হলেন। ‘ইসরায়েল বনাম বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু’ মামলার বিচারকার্যের অংশ হিসেবে আদালতের নির্দেশে তাকে প্রতি সপ্তাহে তিনবার হাজির হতে হবে।
২০১৯ সালে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি দুর্নীতির মামলায় অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগগুলো মধ্যে রয়েছে:
– ধনী বন্ধুদের কাছ থেকে উপহার গ্রহণ।
– সংবাদ প্রচারের বিনিময়ে মিডিয়া মালিকদের বিশেষ সুবিধা প্রদান।
২০২০ সালের মে মাসে এই মামলাগুলোর বিচারকাজ শুরু হলেও বারবার বিলম্বিত হয়।
আজ আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে ‘হাস্যকর’ বলে অভিহিত করেন। তিনি দাবি করেন, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন এবং তিনি বরাবরই ভয়ঙ্কর মিডিয়া কভারেজের শিকার হয়েছেন।
আল জাজিরা সূত্রে জানা যায়, নেতানিয়াহু বিচার প্রক্রিয়া এবং সম্ভাব্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া এড়াতে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক অভিযান প্রসারিত করছেন এবং গাজায় সহিংসতা অব্যাহত রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নেতানিয়াহু তার নির্দোষত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি আদালতের সামনে নিজেকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার বলে তুলে ধরেছেন। মামলার অগ্রগতি এবং এর রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি এখন ইসরায়েলের দিকে।