রাজনীতি ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগপন্থি আইনবীবীদের ধাওয়ায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মানববন্ধন কর্মসূচি পণ্ড হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জে আদালত প্রাঙ্গণে জেলা আইনজীবী সমিতির বার ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে জেলা ও মহানগর বিএনপির ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতাকর্মীরা। কর্মসূচি শুরু হলে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়ার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা সেখানে বাধা সৃষ্টি করেন। এক পর্যায়ে তারা মানববন্ধন থেকে ব্যানার কেড়ে নিয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন মিয়াসহ আরও কয়েকজনকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। তাদের ধাওয়ায় বিএনপির আইনজীবীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে মানববন্ধন কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য রাশিদা জামাল বলেন, আমরা আমাদের কারাবন্দি, নির্যাতিত, গুলিবিদ্ধ, নিহত নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে মানববন্ধন করতে চেয়েছিলাম। যেহেতু আজ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস তাই আমাদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় তুলে ধরতেই এ কর্মসূচি ছিল। তবে আমাদের কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা বাধা দিয়ে সেটি পণ্ড করে দিয়েছেন। আমাদের বেশ কয়েকজনকে ধাক্কা দিয়ে লাঞ্ছিত ও অপমান করা হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল জানান, লাঞ্ছিত করার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আদালতে বহিরাগত লোকজন এনে মানববন্ধন করার পাল্টা অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আদালতে এখন পর্যন্ত কোনো আইনজীবী বাইরের লোক এনে কোনো কর্মসূচি করেননি। বারের অনেক নারী আইনজীবী আছেন, তাদের নিয়ে কর্মসূচি করতে পারতেন। তা না করে তারা বাইরে থেকে নারীদের এনে কর্মসূচি পালন করে আদালত প্রাঙ্গণের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। এখানে বিএনপি-জামায়াত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আমরা আমাদের বার ও আইনজীবীদের নিরাপত্তায় যা করা দরকার করেছি এবং করবো। আইনজীবীরা আমাদের সেই দায়িত্ব দিয়েছেন। বাইরের কোনো লোকজন এনে কাউকে শো করতে দেয়া হবে না সে যেই হোক।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, দুপক্ষের উত্তেজনার সময় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। আদালত এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।