রাজনীতি ডেস্ক:
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বিএনপির যদি শুভবুদ্ধির উদয় হয়, ধ্বংসাত্মক কাজ রেখে সাংবিধানিক পথে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা থাকবে, অভিনন্দন থাকবে।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া খড়মপুর কল্লাহ শহীদ (রহ.) এর মাজার শরীফ জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশিষ্ট নাগরিকরা তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। তারা শুধু উপদেশই দিচ্ছেন। বিএনপি যদি নির্বাচন কমিশনকে বলে যে আমাদের কিছু সময় দেন। বিএনপি যদি নির্বাচনে আসতে চায় অবশ্যই নির্বাচন কমিশন বিবেচনা করবে। কারণ কমিশন এনিয়ে ইতোমধ্যে মন্তব্য করেছেও। সেখানে সরকারের কোন ভূমিকা নেই। তবে নির্বাচন পিছানোর কোন সুযোগ নেই, কারণ এই সরকার ২৮ জানুয়ারির পর অবৈধ হয়ে যাবে, কাজেই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচন হতেই হবে।
নির্বাচন সম্পূর্ণরূপে কমিশনের অধীনে হয় জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন এসপি বলেন, ডিসি বলেন, সমস্ত কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর অধীনে না। তারা সরকারের অধীনেও না। তারা নির্বাচন কমিশনের অধীনে। কাজেই তাদের যার যে বক্তব্য নির্বাচন কমিশনের কাছে বলতে হবে। এতে সরকারের ব্যক্তিগত কোন আপত্তি নাই। কেউ যদি আসতে চায় আমরা সব সময় অভিনন্দন জানিয়েছি এখনও অভিনন্দন জানাবো। তবে নির্বাচনের বিষয়ে তো সিদ্ধান্ত দেয়ার মালিক নির্বাচন কমিশন।
এর আগে মন্ত্রী মাজার শরীফে আসলে তাকে শুভেচ্ছা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বাহার মালদার, খড়মপুর মাজার শরীফ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খাদেম মিন্টু, আখাউড়া থানার ইনচার্জ আসাদুল ইসলাম প্রমুখ।